ত্রাণই রোহিঙ্গাদের একমাত্র ভরসা
ত্রাণ দিয়েই চলছে রোহিঙ্গা পরিবারগুলো। গত ৩ সপ্তাহে যেসব রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন তাদের মধ্যে যারা আগে এসেছেন তারাই ত্রাণ বেশি পাচ্ছেন।
টেকনাফের উচুপ্রং শরণার্থী ক্যম্পের পাশেই ত্রাণের এ লাইনে দাঁড়ানো এক রোহিঙ্গার নাম দলিল আহমেদ। সকাল থেকে হাতে একটি টিকেট নিয়ে অপেক্ষা করছেন।
ত্রাণ পেয়ে রওয়ানা হলেন এক সময়। তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেলো ২০ দিন আগে টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশে করেছেন তিনি। এখন উচুপ্রং শরণার্থী ক্যাম্পে আশ্রয় হয়েছে তার। ত্রাণের বস্তা কাঁধে নিয়ে দলিল পৌঁছালেন তার ঘরে। বাঁশের চাটাই আর পলিথিনে মোড়ানো ক্যাম্পের ছোট্ট এ ঘরেই ৯ সন্তান ও স্ত্রীসহ ১১ জনের পরিবার দলিলের।
তখন সন্ধ্যা নেমে গেছে। দলিলের ঘরের পাশেই কয়েকজন রোহিঙ্গাকে উদাস দৃষ্টিতে মিয়ানমার সীমান্তের দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখা গেল। তাদের চোখের ভাষা বোঝা কঠিন ছিল না। তখনই দূর থেকে ভেসে এলো আজানের ধ্বনি।
দলিল নামাজি লোক। পাহাড়ের ওপরই নামায আদায় করে নিলেন তিনি।
দলিল জানালেন, একটি রেশন কার্ডের মাধ্যমে গত সপ্তাহে তাকে ২৫ কেজি চালের এক বস্তা ত্রাণ দিয়েছে বিদেশি একটি সংস্থা।
দলিলের স্ত্রী রোজিনা আক্তার জানালেন, ত্রাণ না পেলে চুলা জ্বলে না।
মিয়ানমারে তাদের ২৫ কানি জমি এবং গৃহপালিত ৭টি গরু থাকার কথাও জানালেন দলিল। পরিবারের খাবার যোগানোর পাশাপাশি ৫০ বছর বয়সের দলিলের আরেক চিন্তার নাম অবিবাহিত ৫ মেয়ে।