চালের দাম কেন বাড়ছে—ব্যবসায়ীদের ডাকা হয়েছে: কামরুল
বাজারে চালের দাম বাড়া নিয়ে মন্ত্রণালয়ে ডাকা হয়েছে ব্যাবসায়ীদের জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, দেশে চালের পর্যাপ্ত মজুদ থাকা সত্ত্বেও বাজারে কেন চালের দাম বাড়ছে ব্যবসায়ীদের কাছে তার জবাব চাওয়া হবে।
সোমবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
মিয়ানমার থেকে ৪৪২ মার্কিন ডলার দরে এক লাখ মেট্রিক টন আতপ চাল আমদানির সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছে সরকার জানান খাদ্যমন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে রোববার খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের বৈঠকে এক লাখ টন আতপ চাল কেনার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অনুমোদন পেলে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির পর সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদন লাগবে। এরপর এলসি খোলা হবে। তারপর চাল আসবে বলে জানান তিনি।
কুষ্টিয়া ও বগুড়ায় বিভিন্ন মিলে অভিযান এবং ওএমএস চালুর ফলে আজ-সোমবার বাজারে চালের দর একটু নিম্নমুখী।
এদিকে, মিয়ানমার থেকে এক লাখ টন আতপ চাল আমদানি করতে যাচ্ছে সরকার— আতপ চাল আনা নিয়ে বিভিন্ন মহলে যে সমালোচনা হচ্ছে তা উড়িয়ে দিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, সিদ্ধ চালের চেয়ে আতপ চাল অনেক ভাল।
গত এক সপ্তাহ ধরে বাজারে সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে কেজি প্রতি কমপক্ষে ৬ থেকে ১০ টাকা করে—সরকারের ওএমএস কর্মসূচিতেও ১৫ টাকা কেজির চাল বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়।
এর কারণ জানতে খাদ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হলে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, কম দামের ওএমএস কর্মসূচির চাল যাতে বাজারে বেশি দামে বিক্রি না হয় সে দুর্নীতি ঠেকাতেই দাম বাড়ানো হয়েছে।
মন্ত্রী জানান, বাজারে সংকট না থাকা সত্বেও কেন চালের দাম বাড়ছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে আর এজন্য সচিবালয়ে চাল ব্যবসায়ীদের ডাকা হয়েছে।
এদিকে, এই পরিস্থিতি মিয়ানমার থেকে এক লাখ টন আতপ চাল আমদানির কথা জানানোর পর খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ মিয়ানমারকে ১০ লাখ টন চাল আমদানির প্রস্তাব দিলে, মিয়ানমার প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশে এক লাখ টন চাল রপ্তানি করতে সম্মত হয়েছে।
দেশে দুই দফা বন্যায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় চালের মজুদ তলানিতে নেমে এসেছে। গত অর্থবছরের শেষ দিকে চাল আমদানির উদ্যোগ নেয় সেইসঙ্গে বেসরকারি পর্যায়ে আমদানি উৎসাহিত করতে ২৬% থেকে শুল্ক নামিয়ে আনা হয় দুই শতাংশে।
সরকারি-বেসরকারি পর্যায় মিলিয়ে গত আড়াই মাসে রেকর্ড পরিমাণ চাল আমদানি হলেও বাজারে চালের দাম বাড়ছে যার পেছনে মিল মালিকদের কারসাজিকে দায়ী করছে সরকার।
সরকারি হিসেবেই মোটা চালের দাম গত এক মাসে বেড়েছে ১৮ শতাংশ একবছরে বেড়েছে ৫০ শতাংশ। এখন বাজারে ৫০ টাকার নিচে কোনো মোটা চাল নেই। বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ার খোলা বাজারে বিক্রির (ওএমএস) চালের দাম ১৫ টাকা বাড়িয়ে ৩০ টাকা করেছে সরকার।