ধর্ষিতার পরিবার অসহায় ৭ দিন আইনের আশ্রয় নিতে পারেনি শ্রীপুরে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ ধামাচাপা চেষ্টা প্রভাবশালীরা
টি.আই সানি,শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি: শ্রীপুরে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ ধামাচাপা চেষ্টা প্রভাবশালীরা ধর্ষিতার পরিবার অসহায় ৭ দিন আইনের আশ্রয় নিতে পারেনি । ২১ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে শ্রীপুর থানা পুলিশ খবর পেয়ে ধর্ষিতা ও তার মাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। জানা গেছে, উপজেলার রাজাবাড়ী ইউনিয়নের চিনাশুখানিয়া গ্রামে কাজের কথা বলে বাড়িতে ডেকে নিয়ে তৃতীয় শ্রেণির এক শিশু ছাত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ১৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সাত দিন পেরিয়ে গেলেও প্রভাবশালীদের ভয়ে ধর্ষিতার অসহায় পরিবার আইনের আশ্রয় নিতে পারেনি। ঘটনা জানাজানির পর থেকে ধর্ষক পালিয়ে গেছে। স্থানীয় প্রভাবশালীরা ধর্ষকের পক্ষ নিয়ে শিশুটির পরিবারকে আইনের আশ্রয় নিতে না দিয়ে সালিশ করে মিমাংসা করা হবে বলে গ্রাম্য মাতবররা শিশুটির পরিবারকে অবরোদ্ধ করে রাখার অভিযোগ করেন ধর্ষিতার স্বজনরা। বৃদ্ধ জামাল খানের দ্বিতীয় সংসারের কন্যা (৯) স্থানীয় চিনাশুখানিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩য় শ্রেনীতে লেখাপড়া করে। বয়স্ক বাবা কোনো কাজ করেনা। বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মা তাছলিমা খাতুন বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ডেকোরেটরের থালাবাটি ধুয়ার মুছার কাজ করে কোন রকম সংসার চালায়। ধর্ষিতা শিশুর স্বজনরা জানান, সে (ছাত্রী) স্কুল শেষে বাড়ী ফিরে আশপাশের বিভিন্ন বাড়ীতে হুটহরমাশের কাজ করে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে একই এলাকার মৃত রহিম উদ্দিন ভূইয়ার পুত্র লম্পট বিল্লাল হোসেন ভুইয়া (৪০) শিশু শিক্ষার্থীকে তার বসত ঘর ঝাড়– দেয়ার কথা বলে ডেকে এনে কৌশলে জোর করে ধর্ষন করে। পরে অসুস্থ শিশুটি বাড়িতে গিয়ে মাকে ঘটনা খুলে বলে। ছাত্রীর মা ঘটনাটি স্থানীয় ইউপি নারী সদস্য সুফিয়া খাতুনকে অবগত করলে তিনি ধর্ষিতার পরিবারকে সহায়তা না করে উল্টো ধর্ষনকারীর পক্ষ নেয়। অসহায় পরিবারকে বাড়ীর বাইরে কারো কাছে কিছু বলতে নিষেধ করে। বিভিন্ন ধরনের ভয় দেখিয়ে শাসিয়ে যায়। এ ব্যাপারে স্থানীয় ৪নং ওয়ার্ডের নারী সদস্য সুফিয়া খাতুন জানান, তারা আমাকে ধর্ষনের বিষয়ে কিছু জানায়নি। তিনি ভয়ভীতি দেখানোর কথা অস্বীকার করেন। শ্রীপুর থানার ওসি (তদন্ত) শেখ সাদি জানান, শিশু ধর্ষণের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। এ ব্যাপারে ভিকটিমের মায়ের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা নেয়া হবে।