ফেনীতে র্যাবের অভিযানে গাড়ী সহ আটক ২
চট্টগ্রাম ব্যুরো : র্যাব-৭, নী ক্যাম্প গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী ফেনী মডেল থানাধীন হয়ে ঢাকা মহাসড়কের দিকে যাচ্ছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে শনবিার সন্ধ্যায় স্কোয়াড্রন লীডার শাফায়াত জামিল ফাহিম এর নেতৃত্বে র্যাবের একটি চৌকস আভিযানিক দল কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিন মডেল মডেল থানাধীন পাদুয়ার বাজার সংলঙ্গ নুরজাহান হোটেলের পাশে ঢাকা মহাসড়কের বাম পাশে পাকা রাস্তায় একটি কাভার্ডভ্যান গাড়ীকে সন্দেহ হওয়াই গাড়ীটিকে সংকেত দিয়া থামাই। ঐ সময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে কাভার্ডভ্যান এর চালক ও সঙ্গীয় হেলপার পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা কালে আমি তাহাদেরকে সঙ্গীয় ফোর্সের সহায়তায় আটক করি। ঐ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাক্ষী (ক) মোঃ এমদাদুল হক, পিতাঃ আলী আকবর, সাং সিদাইতলী, থানাঃ সদর দক্ষিন কমিল্লা,(খ) মোঃ রুবেল (২৪), পিতাঃ মোঃ আবুল হোসেন, সাংতীরচর থানাঃ চান্দিনা, জেলাঃ কুমিল্লা,(গ) মোঃ মহিবুল্লাহ(২৬), পিতাঃ জহিরুল ইসলাম, সাং নওয়াবগঞ্জ, থানাঃ দেবিদ্বার, জেলাঃ কুমিল্লাদের সম্মুখে আসামিদ্বয়কে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে তাহাদের দেখানো ও সনাক্ত মতে আটককৃত
কাভার্ডভ্যান নং-নেত্রকোনা ট-১১-০০৩৯ এর গাড়ির ভিতর হইতে, আসমীদের ডালা খুলিয়া দেখানো মতে (র) সাদা রং এর ০১(এক) টি প্লাস্টিকের বস্তা ও ০১ (এক) টি চটের বস্তার মধ্যে সর্বমোট ৩০০ (তিনশত) বোতল ফেন্সিডিল, যাহার ০২(দুই) টি বস্তায় হইতে ১৫০ টি করিয়া মোট তিন শত বোতল ফেন্সিডিল, যার প্রতিটি বোতলের লেবেলে ইংরেজীতে ঈযষড়ৎঢ়যবহরৎধসরহব গধষবধঃব ্ ঈড়ফবরহব চযড়ংঢ়যধঃব ঈড়ঁময খরহপঃঁং চঐঊঘঝঊউণখ ১০০সষ. লেখা আছে। প্রতিটি বোতলের মুখে এ্যালুমিনিয়াম এর কর্ক দ্বারা ইনট্যাক অবস্থায় আটকানো। মোট পরিমাণ ৩০ লিটার। প্রতিটি বোতলের মূল্য পাঁচশত টাকা করিয়া যার আনুমানিক মূল্য এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা, ফেন্সিডিল পরিবহন কাজে ব্যবহৃত এক টি নীল হলুদ রংয়ের কাভার্ডভ্যান, যার রেজি নং নেত্রকোনা-ট-১১-০০৩৯, চেসিস নং-গঅঞ৭৫৩৫২৭৩ঐ৮এখ-৩৪৯৭৬১২, ইঞ্জিন নং- ই৫৬১২ণঢ৩৯৪ণ১চ-১৮৫৩৭০, এক টি ট্যাক্স টোকেন,একটি ফিটনেস সার্টিফিকেট, একটি রেজিস্ট্রিশন সনদের রিসিট, রোড পারমিট সনদের রিসিট সহ মোট চারটি কাভার্ডভ্যান গাড়ীটির একটি চাবি উদ্ধার করা হয়। অফিসার এসআই(নিঃ)/মোঃ আবু বকর সিদ্দিক জব্দকৃত মালামাল ও আসামিদ্বয়কে নিজ হেফাজতে গ্রহণ করে। আসামীদ্বয়কে জিজ্ঞাবাদে তাদের নাম-ঠিকানা প্রকাশ করে। জিজ্ঞাবাদে আরো জানায় যে, তাহারা প্রকৃত মাদক ব্যবসায়ী এবং সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে প্রায় সময় মাদকদ্রব্য নিয়া মাদক সেবিদের নিকট বিক্রি করেন। ধৃত আসামীদ্বয় পরস্পর যোগসাজশে অবৈধভাবে মাদকদ্রব্য (ফেনসিডিল) বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে নিজ হেফাজতে রাখিয়া ১৯৯০ সনের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইন (সংশোধনী-২০০৪) এর ১৯(১) এর টেবিল ৩(খ)/২১/২৫ ধারায় অপরাধ করায় আসামির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অত্র এজাহার দাখিল করিলাম। আসামিকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করিয়া আরো মাদকদ্রব্য উদ্ধারের চেষ্টা ও আসামিকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করিয়া আটককৃত আসামিদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে উপরোক্ত নাম-ঠিকানা প্রকাশ করে এবং দীর্ঘদিন যাবৎ সুকৌশলে গাড়ি চালানোর মাধ্যমে ফেনসিডিল বহনের মাধ্যমে পাচার করে আসছে বলে স্বীকার করে। তৎপ্রেক্ষিতে পৃথক পৃথক ঘটনায় ডিএডি মোঃ শাহিন কাদির বাদী হয়ে আসামির বিরুদ্ধে ১৯৯০ সনের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন (সংশোধনী-২০০৪) এর ১৯(১) এর টেবিল ৩(খ)/২১ ধারায় ফেনী মডেল থানায় মামলা দায়ের করে আসামিদের বিরুদ্ধে ১৯৯০ সনের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন (সংশোধনী-২০০৪) এর ১৯(১) এর টেবিল ৩(খ)/২১/২৫ ধারায় কুমিল্লা সদর দক্ষিন মডেল থানায় মামলা দায়ের করে।
স্কোয়াড্রন লীডার শাফায়াত জামিল ফাহিম বলেন, বর্তমানে আমাদের দেশের যুব সমাজের অধঃপতনের অন্যতম প্রধান কারণ মাদকাসক্তি। দেশের যুবসমাজের একটি বড় অংশ আশংকাজনকভাবে মাদক হিসেবে ব্যবহৃত ফেন্সিডিলের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ছে। মাদকের টাকা জোগাড়ের জন্য মাদকাসক্ত যুব সমাজ বিভিন্ন ধরনের অনৈতিক ও অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ছে। যুব সমাজকে মাদকের ভয়াল থাবা থেকে রক্ষার জন্য র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই দেশব্যাপী বিভিন্ন মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে আসছে যা দেশের সর্বস্তরের জনসাধারন কর্তৃক ইতোমধ্যেই বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়েছে।