ধুনটে সিঁদুরে রাঙ্গিয়ে চোখের জলে দেবীকে বিদায়
কারিমুল হাসান লিখন, ধুনটঃ সারাদেশে সনাতন ধর্মাম্বলীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার প্রতিমা বিসর্জনের অংশ হিসেবে, বগুড়ার ধুনটেও সিঁদুরে রাঙ্গিয়ে চোখের জলে দেবী দুর্গাকে বিদায় জানানোর মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গাপূজা। শনিবার ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী বিভিন্ন নদী, খাল, বিল, পুকুর ও জলাশয়ে প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হয়েছে। মহাষষ্ঠীর মাধ্যমে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ৫ দিনের দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এরপর মহাসপ্তমী, মহাষ্টমী ও মহানবমীতে নারী-পুরুষরা ধর্মীয় নানা আচার অনুষ্ঠান পালন করেন। বিজয়া দশমীর দিনে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে তারা এ আনুষ্ঠানিকতা শেষ করেন। শনিবার সকাল থেকে বিজয়া দশমীর পূজা আরম্ভ হয়। দর্পণ বিসর্জনের মাধ্যমে মূলত সকালেই দেবীর শাস্ত্রীয় বিসর্জন সম্পন্ন হয়। বিকেলে শুধু আনুষ্ঠানিক শোভাযাত্রা ও সন্ধ্যায় দেবী দুর্গা ও অন্যান্য দেব-দেবীর বিসর্জন দেয়া হয় বিভিন্ন নদী, খাল, বিল, পুকুর ও জলাশয়ে। বিসর্জনের এর মধ্যদিয়ে দেবী মর্ত্যলোক থেকে আবার স্বর্গলোকে গমন করলেন। বিসর্জন ঘাটে নিয়ে আসার পর শেষবারের মতো প্রতিমাকে সিঁদুর দান, ধুপধুনো নিয়ে আরতিতে মেতে ওঠেন ভক্তবৃন্দ। শেষে পুরোহিতের মন্ত্রপাঠের মধ্যদিয়ে দেবীকে নৌকায় তুলে বিসর্জন দেয়া হয় ধুনট উপজেলার ২৭টি মন্ডপের দেবী মুর্তি। বাংলাদেশ পুজা উদযাপন কমিটি ধুনট উপজেলা শাখার তথ্যমতে এবার ধুনট উপজেলায় ধুনট পৌরসভার মধ্যে ৪টি, কালেরপাড়া ইউনিয়নের মধ্যে ৩টি, চিকাশী ইউনিয়নে ১টি,এলাঙ্গী ইউনিয়নে ৩টা, গোসাইবাড়ী ইউনিয়নে ৫টা, ধুনট সদরে কুঠিবাড়ীতে ১টা, ভান্ডাবাড়ী ইউনিয়নে ২টা, গোপালনগর ইউনিয়নে ৩টা ও মথুরাপুর ইউনিয়নে ৫টি পুজা মন্ডপ প্রতিষ্ঠা হয়েছিলো। ধুনট থানা অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান জানান, উপজেলার প্রত্যেক পুজা মন্ডপে সার্বিক নিরাপত্তার জন্য দাইত্বরত অফিসার ছিলো। আনসার ভিডিপি সদস্যদের সহযোগীতার মাধ্যমে পুলিশ প্রশাসন সফল ভাবে দাইত্ব পালন করেছে। কোথাও কোন অপ্রিতীকর ঘটনা ঘটে নাই। সনাতন ধর্মালম্বীরা নির্বিঘেœ তাদের ধর্ম পালন করতে পেরেছে। উপজেলার প্রত্যেকটি মন্ডপে সুন্দর ও সুষ্ট পরিবেশে দেবী মুর্তি বিসর্জন হয়েছে।