দূর্নীতি মামলায় জেলা পরিষদের চেয়রম্যান কারাগারে
নিজেস্ব প্রতিনিধিঃ দূর্নীতি মামলায় কারাদন্ড প্রাপ্ত নড়াইল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন বিশ্বাসকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার (২ অক্টোবর) সকালে তিনি যশোরের স্পেশাল জেলা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক নিতাইচন্দ্র সাহা এ আদেশ দেন। দুপুরেই তাকে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গত ২৬ সেপ্টেম্বর নড়াইলের রূপগঞ্জ পশুহাট ইজারা সংক্রান্ত দূর্নীতি মামলায় যশোরের স্পেশাল জেলা জজ আদালত সোহরাব হোসেনসহ সাত আসামির প্রত্যেককে ৭ বছর করে সশ্রম কারাদন্ড ও আত্মসাৎকৃত টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৬ মাসের সশ্রম কারাদন্ডের নির্দেশ দেন। দন্ডপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন নড়াইল পৌরসভার বর্তমান মেয়র মোঃ জাহাঙ্গীর বিশ্বাস, তৎকালীন কমিশনার শরফুল আলম লিটু, মুশফিকুর রহমান, আহম্মদ আলী খান, রফিকুল ইসলাম ও তেলায়েত হোসেন। ওই দিন দন্ডপ্রাপ্ত সোহরাব হোসেন বিশ^াস আদালতে অনুপস্থিত থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এছাড়া এ মামলার অপর আসামিদের ওই দিনই কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। মামলার পাবলিক প্রসিকিউটর সিরাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, ‘২০০৪-০৫ অর্থবছরে আসামী সোহরাব হোসেন নড়াইল পৌরসভার মেয়র ছিলেন। ওই সময় রূপগঞ্জ পশুহাট ইজারার দরপত্র আহ্বান করা হয়। এইচএম সোহেল রানা পলাশ নামে এক ব্যক্তি সর্বোচ্চ ৬৫ হাজার ৫৫৫ টাকায় ওই হাটের ইজারা পান এবং তিনি দরপত্রের নিয়ম অনুযায়ী বিডি হিসেবে ৩৩ হাজার টাকা জমা দেন। পরে তিনি দরপত্র মূল্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করে ইজারা থেকে অব্যাহতির আবেদন করেন এবং মেয়র হিসেবে সোহরাব হোসেন তা মঞ্জুর করেন। এরপর ইজারাদাতাকে তার জমা দেওয়া টাকা ফেরত দেওয়া হয়। একইসঙ্গে নতুন করে ইজারা আহ্বান না করে সবাই অবৈধ ভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে ওই হাট তিনবছর ধরে খাস দেখিয়ে এক লাখ ৯৬ হাজার টাকা আদায় করেন এবং সমুদয় অর্থ আত্মসাৎ করেন। এ ঘটনায় দুর্নীতি দমন সমন্বিত কার্যালয় যশোরের সহকারী পরিচালক ওয়াজেদ আলী বিশ্বাস ২০০৮ সালের ৭ আগস্ট ৮ জনকে আসামী করে নড়াইল সদর থানায় মামলা করেন। মামলার বিচার চলাকালে মতিয়ার রহমান নামে এক আসামি মৃত্যুবরণ করেন। তিনি পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত সচিব হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন।