বাংলাদেশের পদক্ষেপেই রোহিঙ্গা সঙ্কট আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম
বাংলাদেশের পদক্ষেপের কারণেই মিয়ানমারের রোহিঙ্গা সঙ্কট এখন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়ানোর কারণে আন্তর্জাতিক অঙ্গনও তাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে— এ সংকট নিরসনে এখন বিশ্বব্যাপী আলোচনা চলছে।
আর মিয়ানমার আলোচনা শুরু করেছে তার একটা বিশেষ দিক রয়েছে—এ কথা জানিয়ে এ সঙ্কটের সমাধান করতে পারবো মনে করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, পদ্মাসেতু নিয়ে দুর্নীতির যে অপবাদ দেয়া হয়েছিল তার জবাব দিতে পেরেছি।
এ সময় শেখ হাসিনা বলেন, নিজের যা কিছু অর্জন তা দেশের জনগণের অবদান।
আন্তর্জাতিক চাপ ও আলোচনার মাধ্যমে ধীরে ধীরে এর সমাধান করতে পারব জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মিয়ানমারের রোহিঙ্গা সংকট এখন বিশ্ববাসীর মনোযোগের কেন্দ্র— আর সেটা বাংলাদেশের পদক্ষেপের কারণেই হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
শনিবার সকালে জাতিসংঘ সফর শেষে দেশে ফেরার পর ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মানবিকতার বৃহত্তর স্বার্থে বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়া হয়েছে –এ কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আশ্রয় যখন দিয়েছি তখন তাদেরকে ভালোভাবে রেখে সম্মানের সঙ্গে নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, দেশের মানুষের আস্থা, বিশ্বাস এবং সমর্থন ছিল বলেই দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে তাদেরকে আশ্রয় দেয়া হয়। এ কারণে বাংলাদেশ যে আন্তর্জাতিকভাবে সম্মানিত হচ্ছে, ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হচ্ছে, যা কিছু অর্জন হচ্ছে— তার সবই এদেশের মানুষের কল্যাণে তাদের সমর্থনে ও দোয়ায়।
জাতিসংঘের ৭২তম অধিবেশনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও যুক্তরাজ্যে তিন সপ্তাহের সফর শেষে শনিবার সকালে দেশে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গলব্লাডারে অস্ত্রোপচারের পর আরও ছয় মাস সাবধানে থাকার কথা জানিয়ে দেশবাসীর দোয়া কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিমানবন্দরে আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের কেন্দ্রীয় নেতা, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য ও দেশবরেণ্য ব্যক্তিরা প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।
বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে প্রধানমন্ত্রী গণভবনের উদ্দেশ্য রওয়ানা হন। এই যাত্রাপথে রাস্তার দু'ধারে দাঁড়িয়ে সর্বস্তরের নেতা-কর্মী, সমর্থক ও সাধারণ মানুষ ফুল ও বাদ্যযন্ত্র, রঙবেরঙের ব্যানার-ফেস্টুন ও পোস্টার এবং জাতীয় পতাকা হাতে অভিনন্দন জানাচ্ছেন।