ছাতকে যৌতুক না পেয়ে অন্ত:স্বত্বা গৃহবধুকে পিটিয়ে হত্যা
সংবাদদাতা, ছাতক
ছাতকে যৌতুকের দাবি মেটাতে রাজি না হওয়ায় খাদিজা বেগম (২৩) নামের অন্ত:স্বত্ত্বা এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ৬অক্টোবর রাতে গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউপির বেরাজপুর গ্রামে এঘটনা ঘটে। জানা যায়, প্রায় ২বছর আগে বেরাজপুরের ময়না মিয়ার পুত্র লেগুনা চালক তাজ উদ্দিনের সাথে ইসলামপুর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর (আফজলপুর) গ্রামের আলীম উদ্দিনের মেয়ে খাদিজা বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্বামি তাজ উদ্দিন ও তার পরিবারের লোকজন খাদিজার উপর যৌতুকের জন্যে ব্যাপক অত্যাচার নির্যাতন শুরু করে। তাদের অব্যাহত জুলুম নির্যাতন সইতে না পেরে পিতার কাছ থেকে একাধিকবার নগদ টাকা এনে দেয়। সর্বশেষ ৬অক্টোবর একটি লেগুনা গাড়ি ক্রয়ের অজুহাতে পিতার কাছ থেকে নগদ ৫লাখ টাকা এনে দেয়ার জন্যে খাদিজার উপর মধ্যযূগিয় কায়দায় অত্যাচার-নির্যাতন শুরু করলে রাতে সে মারা যায়। রাত ১১টায় মৃত খাদিজাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেজেতে লাশ রেখে স্বামি ও পরিবারের লোকজন পালিয়ে যায়। সন্ধ্যার পর থেকে তার শ্বাশুড়ি আনফুল বেগমের সাথে অন্ত:সত্ত্বা খাদিজার ঝগড়া হয়। খাদিজার মৃত্যুর সংবাদ পাশের বাড়ির তার বড় বোন ইমরানা বেগমকে ও জানানো হয়নি। স্বামির বাড়ির লোকজন এখন বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছে। খাদিজার চাচা আতিকুর রহমান, লিটন মিয়া ও শাবলিক হাসপাতালে গিয়ে খাদিজার স্বামি ও পরিবারের লোকজনকে না পেয়ে পরের দিন ৭অক্টোবর ময়না তদন্ত শেষে পিত্রালয় আফজলপুর এনে লাশের দাফন কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। এব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান আখলাকুর রহমান জানান, ওই গৃহবধূর মৃত্যুর বিষয়টি তিনি জেনেছেন। ছাতক থানার উপ-পরিদর্শক কামাল হোসেন বলেন, গৃহবধূ খাদিজার মৃত্যুর ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।