জীবন দিল তালহা শিক্ষিকাকে বাঁচাতে
রাজধানীর টিকাটুলি এলাকার স্থানীয় ছেলে তালহা। মামা রাজনীতি করায় এলাকায় যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে তাদের। রোববার ভোরে এলাকার মোড়ে যখন বেসরকারি স্কুলের এক শিক্ষিকা ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন তখন থেমে থাকেননি তালহা।
এই ঘটনার প্রতিবাদে ছিনতাইকারীদের ধাওয়া করে একজনকে রুখতে পেরে কিল ঘুষি মেরে মারাত্মক জখমও করে বসে। কিন্তু ছিনতাইকারী চক্রের অন্য দুই সদস্য তালহার উপর পাল্টা আঘাত করে। ছুরি দিয়ে এলোপাতারি কোপানোর কারণে মৃত্যু হয় তালহার। পুলিশ জানিয়েছে, ছিনতাইকারীদের ধরতে অভিযান চলছে।
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবু তালহা (২২) তিন ভাইবোনের মধ্যে সবার বড় ছিলেন। তার বাবা নূর উদ্দিন একজন ব্যবসায়ী। তাদের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার বুররা থানায়। তারা টিকাটুলি কে এম রহমত লেনে থাকতেন।ওয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন: রোববার ভোরে টিকাটুলি এলাকা দিয়ে রিক্সায় যাচ্ছিলেন একটি বেসরকারি স্কুলের একজন শিক্ষিকা ও তার ভাই। এসময় তিনজন ছিনতাইকারী তাদের পথরোধ করে। পেছনের রিক্সায় ছিলেন তালহা।
‘এক পর্যায় সে ছিনতাইকারীদের ধাওয়া করে। এতে একজন ছিনতাইকারী পড়ে যায়। তাকে কিল ঘুষি মেরে মারাত্মক জখমও করে তালহা। একজন পড়ে গেছে দেখে ওই দু’জন আবার ফিরে তালহাকে ছুরি দিয়ে নির্দয়ভাবে কোপাতে থাকে। পরে তিন ছিনতাইকারীই দৌড়ে পালিয়ে যায়।’
ছুরিকাঘাতের পরে রক্তাক্ত অবস্থায় তালহা নিজেই বাসায় যান। পরিবারের সদস্যরা তাকে ঢামেকে নিয়ে আসে। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
তালহার ডান পায়ের উরুতে ছুরিকাঘাত করা হয়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয় বলে ডাক্তারের বরাত দিয়ে ওসি জানান।
তিনি আরও জানান, ছিনতাইকারীদের ধরতে অভিযান এবং মামলার প্রক্রিয়া চলছে|
রোববার সকালে ওয়ারীর কে.এম দাস লেনে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল সোয়া ৮টার দিকে তালহার মৃত্যু হয়।