নড়াইলের জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও পৌর মেয়র জামিনে মুক্তি
নিজেস্ব প্রতিনিধিঃ নড়াইল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন বিশ^াস ও পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর বিশ^াস দুদকের মামলা থেকে গত ৫ অক্টোবর তারিখে জামিন পায়। সোমবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে যশোর জেল থেকে তারা মুক্তি পান। এ সময় তাদের অভ্যর্থনা জানাতে উপস্থিত ছিলেন লিডারবিট জরিপের দানবীর খ্যাত নড়াইল ও লোহাগড়ার কৃতি সন্তান, শিল্পপতি, সমাজসেবক নড়াইল-২ আসনের নয়ন মনি শেখ মোঃ আমিনুর রহমান হিমুসহ সহ¯্রাধিক নেতাকর্মী।
জানা গেছে, গত ২৬ সেপ্টেম্বর দুর্নীতির মামলায় ৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত নড়াইলের জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন সোমবার (২ অক্টোবর) সাড়ে ১১টায় তিনি আদালতে আত্মসমর্পন করলে বিচারক নিতাই চন্দ্র সাহা তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার পাবলিক প্রসিকিউটর সিরাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ২০০৪-০৫ অর্থবছরে আসামী সোহরাব হোসেন নড়াইল পৌরসভার মেয়র ছিলেন। ওই সময় রুপগঞ্জ পশুহাট ইজারার দরপত্র আহবান করা হয়। এইচএম সোহেল রানা পলাশ নামে এক ব্যক্তি সর্বোচ্চ ৬৫ হাজার ৫৫৫ টাকায় ওই হাটের ইজারা পান এবং তিনি দরপত্রের নিয়ম অনুযায়ী বিডি হিসেবে ৩৩ হাজার টাকা জমা দেন। পরবর্তী তিনি দরপত্র মূল্য দিতে অপরাগতা প্রকাশ করে ইজারা থেকে অব্যাহতির আবেদন করেন। ওই আবেদনে অপর আসামী তৎকালিন পৌর কমিশনার জাহাঙ্গীর বিশ্বাসসহ ৬ জন কমিশনার ও ভারপ্রপ্ত সচিব সুপারিশ করেন এবং মেয়র হিসেবে সোহবার হোসেন তা মঞ্জুর করেন। এরপর ইজারাদাতাকে তার জমাকৃত টাকা ফেরত দেয়া হয়। একইসাথে নতুন করে ইজারার আহবান না করে সকলে অবৈধভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে ওই হাট ৩ বছর ধরে খাস দেখিয়ে ১ লাখ ৯৬ হাজার টাকা আদায় করে সমুদয় অর্থ আত্মসাৎ করেন।
এ ঘটনায় দুর্নীতি দমন সমন্বিত কার্যালয় যশোরের সহকারী পরিচালক ওয়াজেদ আলী বিশ্বাস ২০০৮ সালের ৭ আগস্ট ৮ জনকে আসামী করে নড়াইল সদর থানায় মামলা করেন। বিচার চলাকালে একজন আসামি মারা যায়। এরপর দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে গত ২৬ সেপ্টেম্বর বিচারক ৭ আসামিকে ৭ বছর করে সশ্রম কারাদন্ড ও আত্মসাৎকৃত টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডের নির্দেশ দেন।