জামাতের ডাকা হরতালে বিশেষ নিরাপত্তা গ্রহনে পুলিশ সুপার।
এম.রফিকুল ইসলাম: জামাতের আমির আটকের পর সারা দেশের ন্যায় ফেনী জেলায় ছিল পুলিশ প্রশাসনের কড়া নজর। সকাল থেকেই জেলার মূল মূল সড়কে পুলিশের কড়া পাহারায় অবস্থানরত থাকতে দেখা গিয়েছে। বিশেষ করে শহর ও উপজেলা পর্যায়ে ছিল বিশেষ নিরাপত্তা বেষ্টনীতে।
সকালে শহরের মহিপালে চোঁখে পড়লো, মোটর সাইকেল আরোহীদের প্রতি বিশেষ নজরদারী। মোটর সাইকেলে একের অধিক হলেই তাদেরকে বিভিন্নভাবে পর্যবেক্ষন করছে। মোটর সাইকেল ছাড়াও চেকপোষ্টে রয়েছে সিএনজি, প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসের প্রতি বিশেষ নজরদারী।
বিশেষ এ নজরদারীর বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা ট্রাফিক প্রধান মীর গোলাম ফারুক জানান, পুলিশ সুপারের নির্দেশ অনুযায়ী আমরা আমাদের জেলা ট্রাফিকের আওতাধীন প্রত্যেকটি স্থানে আমাদের চেক পোষ্টে আমরা সর্তক অবস্থায় রয়েছি। তিনি আরো বলেন, আমরা শুধু এ বিষয়ে সর্তক আছি তা নয়। আমাদের জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে আমরা আগ থেকেই ঢাকা - চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিসিক এলাকায় বিশেষ নজরদারী রাখা হয়েছে। জেলা ট্রাফিকের নির্দেশে ঢাকা - চট্টগ্রাম মহাসড়কের প্রত্য়েকটি গাড়ীর প্রতি নজর রাখা হয়েছে। আর আমাদের কাছে আসা যে কোন তথ্যকে খুব গুরুত্ব সহকারে আমরা পদক্ষেপ নিচ্ছি। বিশেষকরে মায়ানমার থেকে আসা একজন রোহিঙ্গা যেন অন্য কোথাও প্রবেশ না করতে পারে।
শেষ বিকেলের দিকে ফেনী এসএসকে সড়কে সাদেক বিল্ডিং এর সম্মুখে বেশ কয়েকজন পুলিশসহ সদর মডেল থানার ইনচার্জ রাশেদ খাঁন চৌধুরী, ইনচার্জ ( তদন্ত) শহিদুল ইসলাম। ওনাদের সাথে কথা বলে জানতে পারলাম যে সারা দিনের বিশেষ এ নিরাপত্তায় তাদের সন্তুষ্টির কথা। আরো বলেন, এ ধরনের পদক্ষেপে সাধারন মানুষ বেশ খুশি।
বিশেষ এ নিরাপত্তার বিষয়টি নজরে আসার পর, ফেনী জেলা পুলিশ প্রশাসনের প্রধানের সাথে সাক্ষাতকালে এস.এম জাহাঙ্গীর আলম সরকার বলেন, জামাতের আমীর আটক হবার পর এমন কোন পরিবেশ তৈরী করে যেন কেউ কোন সুযোগ না নিতে পারে সে দিকে আমরা বিশেষ দৃষ্টি রাখছি। এদের প্রভাবে একজন সাধারন মানুষও যেন কোনভাবে কষ্ট না পায়। এ ধরনের সংগঠনের জন্য কেন সাধারন মানুষ কষ্ট পাবে?।
আমি মনে করি, পেশাগত দিক থেকে সাধারন মানুষের আস্থার জায়গাটা আমাদেরকেই তৈরী করতে হবে।