হাতিবান্ধায় মারপিটের অভিযোগ এনে ইউপি সদস্যের থানায় অভিযোগ
শাহিনুর ইসলাম প্রান্ত, লালমনিরহাট প্রতিনিধি:
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় মোবাইল ফোন রিসিপ না করায় প্রকাশ্যে মারপিট সহ মটরসাইকেল ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ এনে স্থানীয় থানায় এজাহার দাখিল করেছেন উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়ন পরিষদে সদস্য হাফিজুল ইসলাম।
এদিকে বৃহস্পতিবার বেলা এগারোটায় অপরাধীদের গ্রেফতারের দাবীতে বড়খাতা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বড়খতা ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা জামাল সোহেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই প্রতিবাদ সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ফকিরপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান নুর ইসলাম,গড্ডিমারী ইউপি চেয়াম্যান আতিয়ার রহমান,সানিয়াজান ইউপি চেয়ারম্যান আঃ গফুর,আওয়ামিলীগ নেতা আমিন উদ্দিন মাস্টার,বিএনপির নেতা মোজাম্মেল হক তালুকদার, মুক্তিযোদ্ধা ডিপুটি কমান্ডার আঃ জব্বার,প্রবীন শিক্ষক ছলিম উদ্দিন প্রমুখ।
অপরাধীরা গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত বড়খাতা ইউনিয়ন পরিষদ কর্মবিরতি চালিয়ে যাবে বলে ঘোষনা দেন ইউপি চেয়ারম্যান আবুহেনা মোস্তফা জামাল সোহেল।
জনাগেছে, বুধবার বেলা ১২ টার দিকে ইউপি সদস্য হাফিজুর রহমানকে ফোন করেন বড়খাতা এলাকার মৃত আঃ বাতেনের ছেলে হাসমোত উল্লা হাসু (২৯)। কিন্ত রিং টোন সাইলেন্ড থাকায় কলটি রিসিভ করতে পারেনি ওই ইউপি সদস্য। এতে ক্ষিপ্ত হন হাসু।
এরই প্রেক্ষিতে রাত ১০টার দিকে হাসমোত উল্লা হাসু একই এলাকার নুরু (৩৬) এর সহযোগিতায় বড়খাতা বাজারের চৌরাস্তা মোড়ে মোটর সাইকেলের গতিরোধ করে ইউপি সদস্য হাফিজুর রহমানকে বেধরক মারপিঠ করে ।
এসময় স্থানীয় লোকজন ছুটে এলে তারা ইউপি সদস্য হাফিজুর রহমানের মোটরসাইকেলটি নিয়ে চলে যায়। পরে আহত অবস্থায় ইউপি সদস্য হাফিজুর রহমানকে হাতীবান্ধা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ইউপি সদস্য হাফিজুর রহমান জানান, ওই ঘটনায় ২জনকে অভিযুক্ত করে বুধবার রাতেই তিনি হাতীবান্ধা থানায় একটি এজাহা দাখিল করেছেন।
এ ব্যাপাবে বক্তব্য নিতে হাসমোত উল্লা হাসুর সাথে একাধীক বার যোগাযোগ করার চেষ্ঠা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
বড়খাতা ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা জামাল সোহেল বলেন, ইউপি সদস্য হাফিজুর রহমানকে মারপিটের ঘটনায় ইতোমধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবীতে আমরা প্রতিবাদ সভা করেছি এবং বড়খাতা ইউনিয়ন পরিষদ কর্মবিরতি চালিয়ে যাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা না হলে উপজেলার সকল ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যগন আমরা যৌথভাবে বৃহৎ আন্দলনের ডাক দেব।
হাতীবান্ধা থানা অফিসার ইনর্চাজ শামিম হাসান সরদার জানান, এ ঘটনায় তিনি একটি অভিযোগ পেছেন। বিষয়টি তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।