পুঠিয়ায় তালাক দেওয়া স্ত্রীকে ‘সহযোগীসহ ধর্ষণ’
পুঠিয়ায় তালাক দেওয়া স্ত্রীকে ‘সহযোগীসহ ধর্ষণ’ রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামে কলেজছাত্রীকে তুলে নিয়ে গিয়ে তিন বখাটে মিলে ধর্ষণ করেছে বলে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার ১৪ দিন পর বৃহস্পতিবার সকালে ওই কলেজছাত্রীর পিতা বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর পর ওই ছাত্রীর পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস (ওসিসি) সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান পুঠিয়া থানার ওসি সায়েদুর রহমান ভুঁইয়া। ওসি বলেন, মামলায় তিন যুবককে আসামী করা হয়েছে। এরা হলেন, পুঠিয়ার নওয়াপাড়া গ্রামের হাসেম আলীর ছেলে শাহজাহান আলী (২৪), আব্দুল জলিলের ছেলে শামীম (২৩) এবং আছের আলীর ছেলে ফারুক হোসেন (২৫)। এর মধ্যে শাহজাহান আলী মেয়েটির সাবেক স্বামী। সম্প্রতি তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটে। তারপর থেকেই মেয়েটি তার বাবার বাড়িতে থাকতো। এজাহারের অভিযোগের বরাদ দিয়ে ওসি আরও জানান, গত ২৮ তারিখ সন্ধ্যায় একই এলাকায় তার নানীর বাড়িতে বেড়াতে যায় মেয়েটি। রাত নয়টার দিকে বাড়ি ফেরার সময় তার সাবেক স্বামী শাহজাহানসহ তিন যুবক মেয়েকে ধারালোর অস্ত্রের মুখে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে একটি বাগানে দল বেঁধে ধর্ষণ করে। এর পর রাত ১১টার দিকে মেয়টিকে ফেলে রেখে তারা চালে যায়। তবে মেয়েটি ধর্ষকদের হুমকি ও লজ্জায় বিষয়টি প্রকাশ করেনি। ওসি আরও বলেন, ঘটনার পর থেকে মেয়েটি ক্রমেই অসুস্থ হয়ে পড়তে থাকে। তবে নিজের এবং পরিবারের কথা চিন্তা করে ঘটনাটি কাউকে বলতে সাহস পাননি। কিন্ত অবস্থা ক্রমেই অবনতি হতে থাকলে বুধবার রাতে বিষয়টি তার মাকে জানায়। এর পর বৃহস্পতিবার সকালে মেয়েকে নিয়ে থানায় যান তার বাবা-মা।