রোহিঙ্গাদের নিজ গ্রামে অবশ্যই ফিরিয়ে নিতে হবে: কফি আনান
সহিংসতা বন্ধ করে রোহিঙ্গাদের রাখাইনে নিজ গ্রামে অবশ্যই ফিরিয়ে নিতে হবে— জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে ব্রিফিং শেষে বলেন বিশ্বসংস্থাটির সাবেক মহাসচিব কফি আনান।
তিনি নিরাপত্তা পরিষদকে এ ব্যাপারে কার্যকর উদ্যোগ নেয়ার তাগিদ দিয়েছেন।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মিয়ানমারের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে বলেও জানান রাখাইন রাজ্য বিষয়ক অ্যাডভাইসরি কমিশনের এ প্রধান।
গতকাল -শুক্রবার নিরাপত্তা পরিষদের রুদ্ধদ্বার বৈঠকে রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে তিনটি বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে।
তবে চীন ও রাশিয়ার ভেটোর কারণে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে কোনো প্রস্তাব আনা যায়নি বলে কূটনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।
রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে ব্রিটেন ও ফ্রান্সের আহ্বানে শুক্রবার এক অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে বসে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ।
রুদ্ধদ্বার এ বৈঠকে রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে কিছু অভিন্ন বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে বলে কূটনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে।
তবে চীন ও রাশিয়ার ভেটোর কারণে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে কোনো প্রস্তাব আনা যায়নি।
বৈঠকে রাখাইন রাজ্যের অ্যাডভাইসরি কমিশনের প্রধান ও জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনান রাখাইন পরিস্থিতি ও রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে ব্রিফ করেন।
এ সময় জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূত ম্যাথ্যু রাইক্রফ্ট বলেন, পরিষদের সদস্যরা সহিংসতা নিরসন, মানবিক সহায়তার শর্তহীন অবাধ প্রবেশাধিকার এবং রোহিঙ্গাদের নিঃশর্তে প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে একমত হয়েছেন।
সংকট উত্তোরণে পদক্ষেপ নিতে মিয়ানমারের সঙ্গে নিরপত্তা পরিষদ কাজ করে যাবে বলেও জানান তিনি।
নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে ব্রিফিং শেষে কফি আনান সাংবাদিকদের বলেন, সহিংসতা বন্ধ করে রোহিঙ্গাদের রাখাইনে নিজ গ্রামে অবশ্যই ফিরিয়ে নিতে হবে।
তিনি নিরাপত্তা পরিষদকে এ ব্যাপারে কার্যকর উদ্যোগ নেয়ার তাগিদ দিয়েছেন বলে জানান।
সাবেক এ মহাসচিব বলেন, রোহিঙ্গাদের নিজ গ্রামে ফিরে যাওয়া খুব বেশি সহজ হবে না। তাদেরকে আরো ভালো জীবনযাপনের এবং নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিতে হবে। এছাড়া তাদের পুড়ে যাওয়া ঘরবাড়ি পুনঃনির্মাণ করার সুযোগও দিতে হবে।
রাখাইন কমিশনের সুপারিশমালা প্রসঙ্গে কফি আনান বলেন, মিয়ানমার সরকারসহ নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য দেশগুলো, এনজিও, মানবাধিকার এবং উন্নয়ন সংস্থাগুলোর এই প্রতিবেদন গ্রহণ করেছে। এখন এর ভিত্তিতে একটি কর্মপরিকল্পনা নেয়া সম্ভব।
মিয়ানমার এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সম্মিলিতভাবে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে এক সঙ্গে কাজ করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।