আক্কেলপুরের সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনার ১১ বছর পর রেলগেটের কাজ শুরু।
আক্কেলপুর প্রতিনিধি:- (শ্রী নিরেন দাস)
জয়পুরহাটের আক্কেলপুরের প্রধান সড়ক আক্কেলপুর মহিলা কলেজ সংলগ্ন রেলক্রসিংয়ে ভয়াবহ বাস-ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটে ২০০৬ সালের ১১ জুলাই আক্কেলপুরের এই রেলক্রসিং এ সৈয়দপুর থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী রূপসা আন্তঃনগর ট্রেন আর নওগাঁ থেকে ছেড়ে আসা জয়পুরহাটগামী খেয়া পরিবহন নামের একটি বাসের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। যে সংঘর্ষের দুর্ঘটনায় বাসটি দুমড়ে মুচড়ে ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সেই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান ৩৫ জন আর আহত হন ৩৩ জন। এমন একটি দুর্ঘটনার কয়েক বছর পরে একি রেলক্রসিংএ রাত্রি ০৯-১৫ মিনিটে চিলাহাঁটি থেকে ছেড়ে সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনের সাথে একটি ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষে ট্রাকটি টুকরোটুকরো হয়ে যায়। যে রেলক্রসিংএ ছিলো না কোন সরকারিভাবে গেটম্যান। কর্তৃপক্ষের অবহেলা আর সুদৃষ্টি না থাকার কারণে ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত পারাপার হয় জয়পুরহাটগামী শত শত বাস-ট্রাকসহ অসংখ্য যানবাহন। যা জনসাধারণের কাছে রেলক্রসিংটি ছিলো জীবনের ঝুঁকি ছিলো সাধারণ মানুষের মনে হাজারো প্রশ্ন। এমনকি এই রেলক্রসিংএর সেই ভয়াবহ দুর্ঘটনার জন্য প্রতি বছর ১১ জুলাই সকল নিহত ব্যক্তিদের শরণ করে শোক দিবস পালন করে থাকে। যে রেলক্রসিংএর বিষয়ে সাধারণ জনগণ দাবি জানান, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, জয়পুরহাট -২ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য জনাব:- আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন.এমপি এর কাছে। তিনি জনগণের প্রশ্নের জবাবে বলেন আমি রেল কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে চলতি বছরের মধ্যে ইনশাআল্লাহ এই ঝুঁকিপূণ্য রেলক্রসিংএর কাজ সম্পূর্ণ করা হবে। যে ঝুঁকিপূন্য রেলক্রসিংএর কাজ গত ৮ অক্টোবর থেকে শুরু করা হয়েছে। যা ভয়াবহ দুর্ঘটনার ১১ বছর পর আক্কেলপুরের সবচেয়ে বড় ঝুঁকিপূর্ণ রেলক্রসিংএর কাজ শুরু করা হয়েছে। যাতে জয়পুরহাটগামী ও নওগাঁগামী বেশ কয়েকজন পরিবহণের ড্রাইভারদের সাথে কথা বললে তারা বলেন, এই রেলক্রসিংএর চারিপাশে বিভিন্ন গাছগাছড়া থাকার কারণে ট্রেন আসছে তা দেখতে না পারাই যাত্রীদের জন্য দীর্ঘ সময় ধরে দাঁড়িয়ে থেকে ট্রেন যাওয়ার পরে আমরা পারাপার হয়ে থাকি। তারা আরো বলেন এই রেলক্রসিংএর কাজ চলছে দেখে আমরা আনন্দিত। এই দূত সম্পূর্ণ হলে আর আমাদের এখন থেকে আতংকিত যাত্রীদের নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে না। এবং সাথে সাধারণ জনগণের মাঝে চাঞ্চল্যকর ফিরে এসেছে।