ডিসেম্বরে ঢাকা-চট্টগ্রামে অটোরিকসা চলার শেষ হচ্ছে মেয়াদ
ডিসেম্বরে মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় জানুয়ারি থেকে ঢাকা-চট্টগ্রামে ১৩ হাজার পুরনো অটোরিকসা রাস্তায় আর চলতে পারবে না। কিন্তু তিন দফা বাড়ানোর পরও অটোরিকসার মেয়াদ আবারো বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলনে নামতে যাচ্ছেন সিএনজিচালিত অটোরিকসার মালিকরা।
এই দাবি নিয়ে এরই মধ্যে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছেন তারা।
অন্যদিকে মেয়াদ বৃদ্ধির নয় নতুন সিএনজি চালিত অটোরিকসা নামানোর দাবিতে পাল্টা আন্দোলনে নেমেছে চালক- শ্রমিকরা। তারাও তাদের এই দাবি নিয়ে সরকারের দ্বারস্থ হয়েছেন। মালিক-চালকদের মুখোমুখি অবস্থানে সরকারের দৃষ্টি এখন বুয়েট বিশেষজ্ঞদের দিকে। বুয়েটের মতামতের ভিত্তিতেই আসবে পরের সিদ্ধান্ত।
সরকারি হিসাবে রাজধানীতে বসবাসকারী প্রায় দেড়কোটি মানুষের ৭৭ শতাংশকেই যাতায়াতের জন্য নির্ভর করতে হয় বাস নয়তো সিএনজিচালিত অটোরিকসার কিংবা রিকসার ওপর। কিন্তু, গণপরিবহন হিসেবে যতগুলো বাস রাজধানীতে চলে চাহিদার তুলনায় তা একেবারেই কম হওয়ায় সাধারণ মানুষকে সিএনজি চালিত অটোরিকসার ওপরই বেশি নির্ভর করতে হয়। দীর্ঘদিন চলতে থাকা ভাঙাচোরো অটোরিকসার গ্যারেজে পড়ে থাকে রাস্তায় দেখা মেলেনা। যেগুলো চলে সেগুলোও চলাচলের অযোগ্য।
সাধারন মানুষের দুর্ভোগ কমাতে কয়েক বছর আগে ঢাকা-চট্টগ্রামের রাস্তায় ৫ হাজার সিএনজি চালিত অটোরিকসার নামানোর কথা জানিয়েছিল সরকার। কিন্তু মালিকদের অনীহার কারণে সে উদ্যোগ চারবছরেও আলোর মুখ দেখেনি। সিএনজি মালিক ও সরকারের কালক্ষেপণে চলতি বছরের ডিসেম্বরেই মেয়াদ শেষ হচ্ছে ঢাকা-চট্টগ্রামে চলতে থাকা তেরো হাজার সিএনজি অটোরিকশার।
এই পরিস্থিতিতে বর্তমান অটোরিকসার ইঞ্জিন বদল করে মেয়াদ বৃদ্ধির দাবি করা হয়েছে জানান ঢাকা মহানগর সিএনজি অটোরিকসার মালিক সমিতি ঐক্য পরিষদ সদস্য সচিব এ টি এম নাজমুল হাসান।
এজন্য তারা সরকারের কাছে একটি আবেদন করেছেন, আর এই পুরনো গাড়ির মেয়াদ বাড়ানোর পক্ষে সুপারিশ করেছেন নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান।
তাদের এ দাবির সঙ্গে একমত নন সিএনজি চালকরা-শ্রমিকরা।
ঢাকা জেলা ফোর স্ট্রোক অটোরিকসা ড্রাইভার্স ইউনিয়নের সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, সাত বছর আগেই এসব গাড়ি চলাচলের অযোগ্য হয়ে গেছে পুরনো গাড়ির মেয়াদ না বাড়িয়ে নতুন গাড়ি কেনার পক্ষে মত তার।
আর মেয়াদ বৃদ্ধির পেছনের কারণ হিসেবে অন্য দেশের যুক্তি তুলে ধরেন মালিকরা।
পরিবেশ দূষণের কারণ দেখিয়ে ২০০২ সালে দুই স্ট্রোক ইঞ্জিনের বেবিট্যাক্সি তুলে দিয়ে সবুজ রঙের নতুন সিএনজি চালিত অটোরিকসার অনুমোদনের সিদ্ধান্ত নেয়। ঢাকা চট্টগ্রাম মিলিয়ে ওই সময়ে অনুমোদন দেয়া ১৩ হাজার অটোরিকসার মালিক-শ্রমিকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এরই মধ্যে তিন দফা মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।