সান্টুকে বহিস্কার না করার অনুরোধ বাগমারা আ.লীগের একাংশের
শিবলীসাদিক (মিলন): রাজশাহীর বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাড. জাকিরুল ইসলাম সান্টুকে দল থেকে বহিস্কার না করার অনুরোধ জানিয়েছেন একাংশের নেতাকর্মীরা। মঙ্গলবার বিকেলে এক সপ্তাহ পর ঢাকা থেকে এলাকায় ফিরলে একাংশের নেতাকর্মীরা সান্টুকে সংবর্ধনা দিয়ে তাকে দল থেকে বহিস্কার না কারার জন্য জেলা কমিটির কাছে অনুরোধ জানান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মঙ্গলবার বিকেলে বিমান যোগে ঢাকা থেকে রাজশাহী শাহমখদুম বিমান বন্দরে পৌঁছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান জাকিরুল ইসলাম সান্টু। বিমানবন্দরে বাগমারা আওয়ামী লীগের একাংশের শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত হয়ে তাকে স্বাগত জানায়। পরে শোডাউন নিয়ে বাগমারায় পৌঁছালে উপজেলা চত্বরে তাকে সংবর্ধনা দেয় নেতাকর্মীরা। এসময় তারা সান্টুকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানায়।
সংক্ষিপ্ত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে জাকিরুল ইসলাম সান্টু ছাড়াও বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা বীরেন্দ্রনাথ সরকার, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক প্রভাষক মাহাবুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়া উদ্দিন টিপু, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক সাহার আলী।
এসময় তারা সান্টুকে বাগমারা আওয়ামী লীগের কান্ডারী ও ত্যাগী নেতা হিসেবে উল্লেখ করে তাকে দল থেকে বহিস্কার না করার জন্য জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দের কাছে অনুরোধ জানান।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ইয়াছিন আলী মাষ্টার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও শ্রীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুকবুল হোসেন মৃধা, তথ্য ও গবেষনা বিষয়ক সম্পাদক মামুনুর রশীদ মামুন, প্রচার সম্পাদক মোজাম্মেল হক মাষ্টার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মাস্টার আব্দুল জব্বার বিএসসি, জেলা পরিষদের সদস্য আবু জাফর মাষ্টার, গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন সরকার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও মাড়িয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আকবর আলী, ভবানীগঞ্জ পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশিদ, যোগীপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সামসুল ইসলাম মেলেটারী, শুভডাঙ্গা ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান, বাসুপাড়া ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি শরাফত আলী, গোবিন্দপাড়া ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম, বাসুপাড়া ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাফর ইকবাল, আউচপাড়া ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শহিদুজ্জামান শহিদ, নরদাশ ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শফি কামাল বাবুল, কাচারী কোয়ালীপাড়া ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নিত্য নন্দ সরকার, দ্বীপপুর ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান, বড় বিহানালী ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক ইয়াছিন আলী, ঝিকরা ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুস সালাম, ভবানীগঞ্জ পৌর সেচ্ছা সেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সদস্য প্রভাষক আব্দুল জব্বার, উপজেলা তাঁতী লীগের সভাপতি আব্দুল বারী, জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন, ভবানীগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুল মজিদ প্রমূখ।উল্লেখ্য, গত ২৬ সেপ্টেম্বর দলীয় শৃংখলা ভঙ্গ করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্থানীয় সাংসদ এনামুল হকের বিরুদ্ধে জঙ্গিবাদ ও চরমপন্থীদের মদদ দেয়ার অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করে সাধারণ সম্পাদক জাকিরুল ইসলাম সান্টুসহ একাংশের নেতারা। এর পরের দিন সান্টুসহ ১১ জনকে বহিস্কারের সুপারিশ করে জেলা কমিটিকে চিঠি দেয় উপজেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটি। ওই সুপারিশের প্রেক্ষিতে জেলা কমিটি ১১ জনকে কারণ দর্শনের নোটিশ দিয়ে তাদের সাতদিনের মধ্যে জবাব দেয়ার নির্দেশ দেয়। গত ১২ অক্টোবর তারা কারণ দর্শনের নোটিশের জবাব দিলে পরের দিন সেটি কেন্দ্রীয় কমিটিতে উপস্থাপন করে জেলা কমিটি। কেন্দ্রীয় কমিটি বিষয়টি নিয়ে জেলা কমিটিতে সিদ্ধান্ত নিয়ে সুপারিশ আকারে কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশনা দেয়। আগামী ১৯ অক্টোরব জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সভায় এ বিষয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা রয়েছে।