সুনামগঞ্জের কেজী স্কুলে শিক্ষার্থীদের বেতন ও ভর্তি ফি অতিরিক্ত,শিক্ষকদের বেতন-ভাতা নামমাত্র
সুনামগঞ্জ সংবাদদাতা
সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চলে শিক্ষার জ্ঞানের আলো প্রচার ও প্রসারের জন্য সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশা পাশি ব্যাক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠিত কেজী স্কুলে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। সেই স্কুল গুলোর শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রতি মাসে নেওয়া হচ্ছে অধিক বেতন ও ভর্তি সহ অন্যান্য অতিরিক্ত খরচের টাকা। এতে করে হাওরাঞ্চলের অভাব গ্রস্থ পরিবার গুলো হিমসিম খাচ্ছে স্কুলের খরচ বহন করতে। অন্য দিকে যে পরিমান পরিশ্রম ও মেধা বিলিয়ে শিক্ষার্থীদের গড়ে তুলছেন সেই শিক্ষকদের বেতন ভাতা সহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা পাওয়ার কথা তা দেওয়া হচ্ছে নাম মাত্র। ফলে সব শিক্ষকের মাঝে চাপা ক্ষুব বিরাজ করছে। আর অনেকেই সরকারী নিয়নীতি না মেনেইে চালাচ্ছেন শিক্ষা কার্যক্রম। ফলে মালিকপক্ষ দিন দিন হচ্ছে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ। জানাযায়,জেলায় হাওরাঞ্চলে ১১টি উপজেলায় ব্যাক্তি মালিকানাধীন কেজী স্কুল রয়েছে শতাধিক। এসব স্কুল গুলোতে ১ম শ্রেনী থেকে ৮ম শ্রেনী পর্যন্ত পড়া-শুনা করানো হয়। আর কর্মরত আছেন প্রায় দেড় হাজারের অধিক শিক্ষক আর শিক্ষার্থী রয়েছে ২৫হাজারের বেশি। প্রতি বছর ঐ সব শিক্ষার্থীদের ভর্তির জন্য ১২শত টাকা সকল শ্রেনী ও প্রতি মাসে বেতন ৩শত থেকে সাড়ে ৪শত টাকা নেওয়া হচ্ছে। এত টাকা দিতে অভাব গ্রস্থ পরিবার গুলো হিমসিম খাচ্ছেন। অন্য দিকে ঐসব স্কুলের শিক্ষকগন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত নিজেদের জ্ঞান বিলিয়ে শিক্ষার্থীদের যে পরিমান সময় ও ধর্য্য ধরে গড়ে তুলছেন জ্ঞানী,গুনী ও বিচক্ষন করে। এতে করে স্কুলের নামও ছড়িয়ে পড়ছে জেলায় সর্বত। সেই শিক্ষকদের বেতন-ভাতা দেওয়া হচ্ছে নাম মাত্র। যার ফলে পরিবার পরিজন নিয়ে সংসার চালাতে হিমসিম খাচ্ছেন ঐসব শিক্ষকগন। আরো জানাযায়,যে সকল শিক্ষক স্কুলে পাঠদান করান তাদের বেশির ভাগ ডিগ্রি পাশ অথবা তার সমমানের আর বেশির ভাগ মেধাবী ও গরীব পরিবারের সন্তান। কৌশল করে মালিকপক্ষ তাদেরকেই শিক্ষক হিসাবে নির্ধারন করে ২হাজার থেকে ৩হাজার টাকা দিয়ে দায় সেড়ে বিশাল অংকের টাকা নিজেদের পকেটে ডুকিয়ে নিচ্ছেন। ঐসব শিক্ষকরাও এক প্রকার বাধ্য হয়ে মেনে নিচ্ছেন নাম মাত্র বেতন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিভিন্ন কেজী স্কুলের শিক্ষকগন জানান,সরকারী স্কুলের শিক্ষকদের চেয়ে কম পরিশ্রম করি না বরং বেশি সময়,শ্রম ও সবোর্চ্ছ মেধা দিয়ে,যতœ করে,ধর্য্য ধরে শিশু শিক্ষার্থীদের গড়ে তুলছি। কিন্তু সেই পরিমান সম্মানী পাচ্ছি না। আমাদের প্রতি মাসে ২-৩হাজার টাকা দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে যে পরিমান টাকা উৎত্তোলন করা হয় (প্রতি মাসে ও বছরে)তার ৩ভাগের এক ভাগও দেওয়া হয় না আমাদের। মালিক পক্ষ শুধু নিজের সুবিধা নিয়ে ব্যস্থ আছে আর আমরা জীবন সংসার চালাতে হিমসিম খাচ্ছি। কিছু বললে ত আর চাকরী থাকবে না। শিক্ষার্থীদের অবিভাবকগন জানান,সন্তানদের ভাল লেখা-পাড়া হয় বিধায় কেজী স্কুলে পড়াশুনা করাই কিন্তু টাকার পরিমান ত অধিক এতে করে আমরাও হিমসিম খাই। অথছ শিক্ষকদের বেতন শুন ২-৩হাজার টাকা এত কম বেতন কেন দিবে। আমাদের কাছ থেকে টাকা ত আর কম নেওয়া হয় না। একটি স্কুলের খুটিঁ ত শিক্ষক আর ছাউনি হল ছাত্র। শিক্ষক ভাল বিধায় ছাত্র ভাল হচ্ছে। শিক্ষকদের বেতন বর্তমান সময়ের দ্রব্য মূলের দামের দিক বিবেচনা করে সংসার চলার মত নির্ধারন করা উচিত। ব্যক্তি মানিকানাধীন বিভিন্ন কেজী স্কুলের প্রধান শিক্ষকগন জানান,আমাদের কি করার আছে মালিক পক্ষ যে ভাবে চালায় আমরা ত সেই ভাবেই চলতে হয়। তাহিরপুর উপজেলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম জাহান রাব্বি জানান,এ উপজেলায় ব্যক্তি মানিকানাধীন ৭টি কেজী স্কুল আছে। ঐসব কেজী স্কুল গুলো নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চালাচ্ছেন কি না ও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নির্ধারীত বেতনের চেয়ে বেশী নিয়ে থাকলে গুরুত্ব সহকারে খোজঁ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।