বৈরী আবহাওয়ায় শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে ডাম্পফেরী চলাচল বন্ধ
রুবেল মাদবর মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
শুক্রবার দুপুর ১২টা থেকে বৈরী আবহাওয়ার কারণে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে ডাম্পফেরী চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়েছে গেছে। পদ্মা নদীতে প্রবল ঢেউ থাকার কারণে ডাম্পফেরী চলাচল করতে পারছে না। তাই কর্তৃপক্ষ নদীতে ডাম্পফেরী চলাচলে বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন। তবে আবহাওয়া ভালো হলে এই ফেরি আবার চলাচল শুরু হবে।
বৈরী আবহাওয়ার কারণে মুন্সিগঞ্জ নারায়নগঞ্জ লঞ্চ চলাচলও বন্ধ হয়ে গেছে। এর ফলে এই পথের যাত্রীরা সড়ক পথে ঢাকা ও নারায়নগঞ্জ যাতায়াত করছে। তবে দিনভর বৃষ্টিতে যাত্রীরা নাকালে হয়ে পড়েছেন। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাড়ি থেকে এখন বের হচ্ছে না।
বৈরি আবহাওয়ার মধ্যে সীমিত আকারে কিছু ফেরি এখনো চলাচল করছে। তবে সম্পূণর্ ভাবে বন্ধ রয়েছে লঞ্চ-সী-বোর্ড সহ অন্যান্য নৌযান চলাচল। এতে করে উভয় ফেরীঘাটে দীর্ঘ যানজট দেখা দিয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের যাত্রীরা এখানকার নৌরুটের মাঝ পদ্মায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। এক দিকে যানজট অন্যদিকে দিনভর বৃষ্টিতে এই পথের যাত্রীরা মহা বিপাকে পড়েছেন।
বৃহস্পতিবার বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়ায় নিম্নচাপের প্রভাবে আজ শুক্রবার সকাল থেকে পদ্মা উত্তাল হতে শুরু করলে দুপুর ১২ টার দিকে সম্পূর্ণ ভাবে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয় এই ঘাট থেকে। এদিকে সকাল থেকে সী-বোর্ড ও ডাম্পফেরী বন্ধ করে দেওয়া হয়।
দুপুর ১টায় বিআইডব্লিউটিসির মাওয়া কর্মকর্তা জসিমউদ্দিন ও নৌফাড়িঁ ইনচার্জ সুরজিৎ কুমার ঘোষ জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর রাত ৩টা পর্যন্ত ফেরি চলাচল স্বাভাবিক ছিলো।
তবে সকাল থেকে আকাশের অবস্থা আরো খারাপ হতে থাকে এবং নদীতে বড় বড় ঢেউ সৃষ্টি হতে থাকে। এমতাবস্থায় বিআইডব্লিউটিসির কর্তৃপক্ষ এখানে ১২টি ফেরী চলাচল বন্ধ করে দেয়।
বিআইডব্লিউটিসির কর্তৃপক্ষ বর্তমানে ছোট ৬টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার অব্যাহত রেখেছেন। এ কারণে ঘাট এলাকায় প্রায় ৪ শতাধিক যানবাহন পারাপারের অপেক্ষার প্রহর গুনছেন। উভয় ঘাটে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হলে পণ্যবাহী ট্রাক ও ছোট বড় যাত্রীবাহী যানাহনসহ প্রায় সাড়ে ৪শতাধিক যানবাহন ফেরী পারপারের অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে। এতে মাঝ পদ্মায় নোঙরে থাকা এবং ঘাটে বেড়ানো থাকা মোট ১২টি ফেরীর হাজার হাজার যাত্রীরা পড়েছেন ভোগান্তিতে। প্রচন্ড বৃষ্টি ও হালকা শীতের প্রবাহে শিশু ও নারীদের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ বলে অভিযোগ উঠেছে।