হরিনাকুন্ডুতে গরু ব্যাবসায়ীকে কুপিয়ে ২লাখ ৪০ হাজার টাকা ডাকাতি
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডুতে গরু ব্যাবসায়ীকে কুপিয়ে ২লাখ ৪০হাজার টাকা ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ১৮ই অক্টোবর,১৭ সালের বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে হরিনাকুন্ডু থানার কণ্যাদহ-বাসুদেবপুরের মাঝামাঝি রাস্তায় এ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। জানা গেছে, গরু ব্যাবসায়ী হরিনাকুন্ডুর বাসুদেবপুর গ্রামের মৃত.আত্ত্বাব মন্ডলের ছেলে আমিরুল ইসলাম প্রতিদিনের ন্যায় গরু ক্রয়-বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে ঝিনাইদহ সদরের গান্না বাজারের গরুর হাটে যায়। ৪ লাখ ৪০ হাজার টাকায় ৫টি গুরু বিক্রয় শেষে ব্যাবসার অংশিদার তৌফিককে ২লাখ টাকা দিয়ে সন্ধ্যার পুর্বে বাই সাইকেল যোগে নিজবাড়ির উদ্দেশ্যে আমিরুল রওনা হয়। পথিমধ্যে হরিনাকুন্ডু থানার কণ্যাদহ-বাসুদেবপুরের মাঝামাঝি রাস্তায় সন্ধ্যা ৭টার দিকে পৌছানো মাত্রই রামদা হাতে তিন জন বিশিষ্ট ডাকাত আমিরুলকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে ২লাখ ৪০হাজার টাকা ডাকাতি করে পালিয়ে যায়। গরু ব্যাবসায়ী আমিরুলের বর্ণনানুযায়ী, ঝিনাইদহ সদরের গান্না বাজারে গরু বিক্রয় শেষে নিজ গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হলে সন্ধ্যা ৭টার দিকে পথিমধ্যে হরিনাকুন্ডু থানার কণ্যাদহ-বাসুদেবপুরের মাঝামাঝি রাস্তায় পৌছানো মাত্রই রামদা হাতে তিন জন বিশিষ্ট ডাকাত দলের মধ্যে থেকে আমিরুলকে “এই দাড়া”বলেই মাথায়, পিঠে ও হাতের বাহুতে রামদা দিয়ে উপর্যুপুরি কুপাতে থাকে। আমি মাটিতে লুটিয়ে পড়ি। তিন ডাকাতের মধ্যে এক জনের কন্ঠ আমার চেনা চেনা লাগে। পরে একই রাস্তায় হঠাৎ একটি মাইক্রো গাড়ি আসতে থাকলে ডাকাতরা তাড়াতাড়ি করে আমার কোমরে থাকা ২লাখ ৪০ হাজার টাকা নেওয়ার সময় গাড়ির আলোয় আমাদের একই গ্রাম বাসুদেবপুরের মৃত.কওসারের ছেলে হায়দারকে চিনে ফেলি। ফলে ডাকাতরা আমার কোমরে থাকা ২লাখ ৪০ হাজার টাকা দ্রুত পালিয়ে যায়। আমার চিৎকারে এলাকাবাসীরা ছুটে আসে। আমার চিৎকারে স্থানীয় মানোয়ার, মান্নান ও বাবলু ছুটে আসে। এলাকাবাসীর সহযোগিতায় আমার ভাতিজা স¤্রাটকে মোবাইলে ঘটনা জানালে সে ছুটে এসে আমাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। ভর্তি করা অবস্থায় আমি অজ্ঞান ছিলাম। জ্ঞান ফিরলে দেখি আমি হাসপাতালে শুয়ে আছি। ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের কর্তৃব্যরত ডাক্তার আমিরুলের মাথায়, পিঠে ও হাতের বাহুতে যথাক্রমে ১০টি সেলায় দিয়ে ৪দিন ধরে চিকিৎসা শেষে রবিবারে আমিরুল তার নিজ বাড়িতে পৌছায়। এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত ঝিনাইদহ জর্জকোর্টে মামলার প্রস্তুুতি চলছে বলে জানায় আমিরুলের বড় ছেলে জনি। এব্যাপারে চাঁদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তফার মোবাইল (০১৭১৬-৫৭৫৬৬৭) বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি বলেন, এঘটনায় ৮নং চাঁদপুরের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হিটলার হোসেন বলেন, আমি আমিরুলের মুখে শুনেছি জৈনিক হায়দার তাকে কুপিয়ে টাকা পয়সা ডাকাতি করে নিয়ে গেছে। হরিনাকুন্ডু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত হোসেন ঘটনা অস্বীকার করে জানান, গরু ব্যাবসায়ী আমিরুলের সম্পর্কে শালী ঐ এলাকার মোছাম্মাত.উজানাকে সে জোর পুর্বক ধর্ষন করতে গেলে, উজানা হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে আমিরুলকে মারাত্বক জখম করে। পরে উজানা বাদি হয়ে হরিনাকুন্ডু থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন ধারায় একটি মামলা দায়ের করেছে। এছাড়াও আমিরুলের চরিত্র খারাপ, ইতিপুর্বে আমিরুলকে নিয়ে তার গ্রামে বেশ কয়েকটি শালিশ বিচার হয়েছে।