একাদশ নির্বাচনে ফেনী-১ আসন । মাঠে সরব রয়েছেন সোহেল চৌধুরী
এম.রফিকুল ইসলাম :
চলতি দশম সংসদে ফেনী-১ এ আওয়ামীলীগ নেতৃত্ব হতে সংসদ সদস্য পদে দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় ক্ষমতাসীন দলের স্হানীয় ত্যাগী নেতা-কর্মীরা অনেকটা বিস্মিত হয়েছে। অতীতে সকল নির্বাচনে দল হতে মনোনয়ন দেওয়া হলেও গত নির্বাচনে তা জোটের দিকে চলে যায়। এতে স্থানীয় নেতা-কর্মীরা জনগনের জন্য আশানুরুপ কাজ করতে না পারার অতৃপ্তিতে ভূগছে।
তাই এবার অনেক আগ থেকেই আওয়ামীলীগ হতে অনেকেই নির্বাচন বিষয়ে নড়েচড়ে বসেছেন।
আর সচেতন বোদ্বাদের ও ধারণা যে আগামী সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হবে দলের স্থানীয় নেতৃত্ব হতে। আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের প্রাথী হিসেবে
অংশ নিতে চান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এর অতি পরিচিত কতেক নেতা। যাদের মাঝে তৃণমূলে সবচেয়ে বেশী আলোচিত নাম মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল।
নির্বাচনী ভাবনায়, ছাগলনাইয়া উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি সামছুদ্দিন আহাম্মদ ভুলু মজুমদার, যুগ্ম-সম্পাদকও ছাগলনাইয়া বিআরডিবি চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মজিব, উপ-দপ্তর সম্পাদক তাজুল ইসলাম সবুজ। ৮৬ নির্বাচন থেকে সময়ের প্রয়োজনে ফেনীর রাজপথ কাপাঁনো সৈনিক সোহেল চৌধুরী কে প্রাথী ধরেই বিএনপি প্রাথী যদি দলীয় প্রধানও হন তবুও সাবলীল ভাবে প্রতিদন্ধিতা করার নির্মিতে ইতিমধ্যে গনসংযোগ সহ বিভিন্ন প্রস্তুতি মূলক কাজ ছাগলনাইয়া আওয়ামীলীগ প্রায় সম্পূর্ণ করে এনেছেন।
প্রতিদিন রুটিন মাফিক কেন্দ্রওয়ারী কর্মী বাহিনী কে উজ্জিবিত করন, কেন্দ্রে ভোটার আনা-নেওয়া, ভোটারদের সোহেল চৌধুরী বা নৌকা পতিকের প্রতি আকৃষ্ট করে ও ভোটার মনযোগ সহ দৃষ্টি আকর্ষন করার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন। বিশ্বস্ত কর্মীদের মাঝে পোলিং এজেন্ট তৈরি, ভিন্ন ওর্য়াড়ে দায়ীত্ব দিয়ে মাঠ জরিপ করার কাজ ও প্রায় শেষ করে এনেছেন। তাহাঁরা নিজস্ব জরিপ অনুসারে যেসকল এলাকায় আওয়ামীলীগের ভোট তুলনামূলক কম বলে প্রতিয়মান হচ্ছে ঐ সকল এলাকাতে যুবক, মুরব্বী দের বিভিন্ন ভাবে কাজে লাগিয়ে ভোটারদের ভিতরে প্রভাব ও নিজস্ব বলয় তৈরি করে নিচ্ছেন।
ভুলু মজুমদার বলেন, সোহেল চৌধুরী কে প্রার্থী হিসাবে পেলে ভোট কাষ্টিংএ রেকর্ড করার প্রস্তুতি হিসাবে ফেনী-১ এর ছাগলনাইয়ার ৪৭টি কেন্দ্রে ২৪০টি বুথের জন্য পোলিং এজেন্ট, প্রতি বুথের বিপরীতে ৬ জন করে কেন্দ্রের বাহিরে টেবিল এজেন্ট নিশ্চিত করা আছে। তেমনী ভাবে প্রতি গ্রামে ১০ জন করে ভোট কর্মী, প্রতি বাড়ীতে ১জন করে তাগাদা কর্মী, যাদের কাজ হবে ভোটার দের তাগাদা দিয়ে কেন্দ্র মূখী করা। ঠিক একই প্রস্তুতি আছে ফুলগাজীর ৩০ কেন্দ্রের ও পরশুরামের ২৬ কেন্দ্রের ২৬৮ বুথের জন্যও।
মজিবুর রহমান মজিব বলেন, যে সকল স্থানে অন্যদের দ্ধারায় ভোটারদের সোহেল চৌধুরী বা নৌকা প্রতিকের প্রতি আশানুরুপ আকর্ষন করানো সম্ভব হচ্ছে না ওই সকল এলাকায় কখনো গোপনে, কখনও বা দলীয় কর্মসূচী আবার ক্ষেত্র বিশেষ সামাজিক অনুষ্ঠানের সূত্রধরে সোহেল চৌধুরী কে সাথে নিয়ে, আবার সোহেল চৌধুরী নিজের মত গিয়ে ভোট ব্যাংক তৈরির মিশনে দিনরাত পরিশ্রম করে চলেছেন।
তিনি আরও জানান, বিভিন্ন সময়ে এই নেতা জীবনবাজি রেখে সাধ্যমতো দলের জন্য কাজ করেছেন। ফলে অনেকেই আজ আমাদের দল মূখী হয়েছে। প্রবীণ নেতৃত্বের পাশাপাশি দলে শিক্ষিত ও মার্জিত তরুন দের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব দেয়ার সিদ্ধান্ত দেয়া শুরু হয় আওয়ামী লীগের সম্মেলন থেকেই।
ছাগলনাইয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক তাজুল ইসলাম সবুজ আরও জানান, সোহেল চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরেই দলও জনগণের সেবায় কাজ করে যাচ্ছে। এলাকার সম্মানিত ভোটারদের সাথে যোগাযোগ রাখছে, তাঁদের জন্য কাজ করতেছে। দল আগামী নির্বাচনে তাকেঁ মনোনয়ন দিলে জনগণ নির্বাচিত করবেন বলে আমরা শতভাগ আশাবাদী। তবে সোহেল চৌধুরী
ছাত্রলীগেরও সাবেক নেতা। এরই মধ্যে তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান ও দলের নেতা হিসাবে সফলতার স্বাক্ষর রেখেছে। এ নেতাকে প্রাথী ধরে ফেনী-১ এর নির্বাচনী এলাকায় তৃণমূলে নৌকার পক্ষে কর্মীসভা, উঠান বৈঠক থেকে শুরু করে নানা কাজই নেতা-কর্মীরা সুচারুভাবে সম্পর্ন করছেন। তিনি আরও বলেন, আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরো শক্তিশালী করতেই আমরা সোহেল চৌধুরীর মনোনয়ন প্রত্যাশী। তিনি বলেন ছাগলনাইয়াবাসীর দৃঢ় বিশ্বাস তৃণমূলে তাহাঁদের নেতা সোহেল চৌধুরীর অবস্হান, দল ও নেত্রীর প্রয়োজনে তাহার রাজপথের বাস্তবতা সহ বর্তমানেও যেভাবে দলের হয়ে কাজ করছেন তাতে করে মনোনয়ন পেলে দলের সভাপতি শেখ হাছিনার হাতকে আরো শক্তিশালী করতে সক্ষমতার পরিচয় দেওয়ার মত নেতার নাম সোহেল চৌধুরী।
ভুলু মজুমদার বলেন, সোহেল চৌধুরী নির্বাচন করার সুযোগ পেলে এবং নির্বাচিত হলে দেশ ও সমাজের জন্য তা ইতিবাচক হবে। কারণ, দুর্নীতি, টেন্ডারবাজিসহ সব ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সোহেল চৌধুরীর মত তরুনরা ভবিষ্যত রাজনীতি চিন্তা করে জড়িত থাকার অভিযোগ নাই। তরুনরা এসব নেতিবাচক কর্মকাণ্ড থেকে অনেকটাই বিরত থাকেন ফলে , দেশের উন্নয়নে যা কল্পনাতীত কাজ দেয়।
বিরোধীদল থাকতে রাজপথে যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখেন তিনি এমনি কি ৮৬,৯১,৯৬,২০০১সহ ১/১১ দলের দুঃসময়েও দলের পক্ষে জোরালো ভুমিকা রাখেন। তার কর্মকাণ্ডে দলের হাইকমান্ডও সন্তুষ্ট হয়ে অনেকটা অল্প বয়সেই তাঁকে দলের পদবী ও উপজেলা চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দেয়।
ভূলু মজুমদার আরো উল্লেখ করেন, হাইস্কুলে পড়াকালীন সময়ে তরুন বয়ষেই ছাত্রলীগকে সু-সংগঠিত করা হতে ফেনী কলেজে অধ্যায়ন কালীন সোহেল চৌধুরীর একক প্রচেষ্টায় ফেনী কলেজ ছাত্রসংসদ নির্বাচন ও দলের জন্য রেকর্ড সংখ্যক মামলার আসামী হয়ে ও দলের হাল ধরে রাখা নেতা সোহেল চৌধুরী কে মনোনয়নই ফেনী-১ এর ফসল আওয়ামীলীগের ঘরে যাওয়ার নিশ্চয়তা বহন করে।
এ প্রসঙ্গে সোহেল চৌধুরীর সহিত কথা বলা কালীন সময়ে তিনি বলেন, দলের নেতা-কর্মীরা সিদ্বান্ত নিবেন তিনি দলের মনোনয়ন চাইবেন কিনা। তবে এই এলাকার প্রতিনিধি হিসেবে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রম করে যাচ্ছেন।