চট্টগ্রামে র্যাবের অভিযানে ৩০ মামলার আসামী বিপুল পরিমান অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ আটক
এম.রফিকুল ইসলাম : র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদ্ঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃংখলার সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। র্যাবের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, ডাকাত, খুনি, বিপুল পরিমান অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার, মাদক উদ্ধার, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার করে সাধারণ জনগনের মনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। চট্টগ্রামের জেলার সীতাকুন্ডের সলিমপুর ইউনিয়নের পাহাড়ী জনপদ জঙ্গল সলিমপুর রুপ নিয়েছে ভয়ঙ্কর এক সন্ত্রাসের জনপদে। সরকারি বনভূমি দখল, খুন, ধর্ষন, হানাহানি, আধিপত্য বিস্তার, অপহরনসহ সব ধরনের অপরাধমূলক কার্যক্রম জঙ্গল সলিমপুরে ছড়িয়ে পড়েছে। সীতাকুন্ডের দুর্গম জঙ্গল সলিমপুরের সরকারি পাহাড় কেটে গত এক যুগে প্রায় ১৬ হাজার অবৈধ বসতি গড়ে উঠেছে। ছিন্নমূল মানুষদের নামে বিভিন্ন সংগঠন গড়ে তুলে একটি চক্র পাহাড়ে ছোট ছোট প্লট বানিয়ে তা বেচাকেনা করছে। ইচ্ছেমতো পাহাড় কেটে সেখানে রাস্তা তৈরি করছে এবং জঙ্গল সলিমপুর এলাকায় আড়াই হাজার একর সরকারি বনভূমির অলিখিত মালিক বনে গেছেন চট্টগ্রাম জেলার জংগল সলিমপুরের মশিউর বাহিনীর প্রধান কাজী মশিউর রহমান। পাহাড় বিক্রির অর্জিত অর্থ দিয়ে গত কয়েক বছরে দেশের নানা প্রান্তের সন্ত্রাসীদের অভয়াশ্রম হিসেবে জঙ্গল সলিমপুরে বিশাল সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তুলেছে মশিউর। মশিউর বাহিনীর প্রধান মশিউর রহমান এর বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের বিভিন্ন থানায় খুন, ধর্ষন, হানাহানি, অপহরন ও জবর দখলসহ বিভিন্ন অপরাধের ৩০টির অধিক মামলা রয়েছে। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম মশিউর বাহিনীর প্রধান মশিউর রহমানকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে ব্যাপক গোয়েন্দা নজরদারী অব্যাহত রাখে। এরই প্রেক্ষিতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ড থানাধীন জংগল সলিমপুরের মশিউর বাহিনীর প্রধান মশিউর রহমান তার সহযোগীদের নিয়ে জঙ্গল সলিমপুরের ছিন্নমূল এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে অদ্য ২৩ অক্টোবর ২০১৭ ইং তারিখ রাত ০৪০০ ঘটিকার সময় র্যাব-৭ এর একটি আভিযানিক দল সলিমপুরের ছিন্নমূল এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মশিউর বাহিনীর প্রধান কাজী মশিউর রহমান (৫৫) এবং তার সহযোগী ৮ টি মামলার আসামী সন্ত্রাসী মোঃ রফিক (২৫))কে ১ টি বিদেশী পিস্তল, ১০ টি ওয়ান শুটারগান, ০৫ টি এসবিবিএল, ০১ টি পিস্তলের ম্যাগাজিন, ২২ রাউন্ড গুলি/কার্তুজ এবং ০৪ রাউন্ড খালি খোসা উদ্ধারসহ আসামীদেরকে গ্রেফতার করা হয়। উল্লেখ্য যে, গ্রেফতারকৃত আসামী কাজী মশিউর রহমান এর বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের বিভিন্ন থানায় ৩০ টি এবং রফিক এর বিরুদ্ধে ০৮ টির অধিক মামলা রয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামী এবং উদ্ধারকৃত অস্ত্র সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ড থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।