লৌহজংয়ে শিক্ষার্থীর হামলায় শিক্ষক আহত প্রতিবাদে ১ ঘন্টা ঢাকা-মাওয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ
স্টাফ রিপোর্টারঃ
লৌহজংয়ে শিক্ষার্থীর হামলায় গুরুত্বর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে উপজেলার মেদিনী মন্ডল আনোয়ার চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের খন্ড কালীন ইংরেজীর শিক্ষক মো. রবিউল ইসলাম রুবেলকে। হামলা কারীরা লাঠি দিয়ে আঘাত করে তার তিনটি দাঁত ফেলে দিয়েছেন এবং বাম হাতটি ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছেন।
রবিবার (২২ অক্টোবর) রাতে উপজেলার মাওয়া বাজার সংলগ্ন মসজিদের পাশে রাস্তায় এ ঘটনা ঘটে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। শিক্ষকের উপর হামলার প্রতিবাদে এবং হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে সোমবার সকাল ৯টায় বিদ্যালয়ের কয়েক’শ শিক্ষার্থী ঢাকা-মাওয়া-খুলনা মহাসড়ক ১ ঘন্টা অবরোধ করে রাখেন।
বিদ্যালয়টির পরিচালনা পরিষদের দাতা সদস্য মোশারফ হোসেন নসু জানান, বিদ্যালয়ের ইংরেজী শিক্ষক মো. রবিউল ইসলাম(রুবেল) রবিবার রাতে প্রাইভেট পড়িয়ে সাইকেল যোগে বাড়ি ফিরছিলেন।এক পর্যায়ে তিনি মাওয়া বাজারের মসজিদের সন্নিকটে আসা মাত্রই গতবার এসএসসি পাশ করা প্রাক্তন ছাত্র সজিব সিকদার ও তার সহযোগি বর্তমান এসএসসি পরীক্ষার্থী জিদান এবং পাভেজ সহ সংগীরা শিক্ষকের উপর লাঠি দিয়ে হামলা চালায়। লাঠির আঘাতে শিক্ষক রবিউল ইসলাম রুবেল হোসেনের তিনটি দাঁত পড়ে যায়, বাম হাতটি ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়া হয়। এছাড়াও শরীরের বিভিন্ন অংশে রক্তাক্ত জখম করা হয়। তবে হামলার করন সম্পর্কে অএ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নারায়ন চন্দ্র মন্ডল জানান, সজিব স্কুলের একটি মেয়েকে ইভটিজিং করায় তার প্রতিবাদ করায় এবং চলতি এসএসসি পরীক্ষায় অপর শিক্ষার্থী জিদানকে নকল করতে না দেয়া ছিলো শিক্ষক রুবেলের অপরাধ। আহত শিক্ষককে গুরুত্বর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে এ হামলার প্রতিবাদে এবং হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে অত্র স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী,শিক্ষক, অভিবাবক ও এলাকাবাসি। বিক্ষুব্ধ ছাত্র-ছাত্রীরা বখাটে ছাত্র সজিব ও তার সহযোগি জিদান ও পারভেজ কে দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবীতে সোমবার সকাল ৯ টা থেকে ১০ টা পর্যন্ত এক ঘন্টা ব্যাপি ঢাকা-মাওয়া মহাসড়ক অবোরোধ করে রাখেন। এ সময় তারা এ মহাসড়কের সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয় এবং দোষীদের গ্রেফতারের দাবীতে বিভিন্ন শ্লোলগান দেয়। এ সময় বিদ্যালয়ের ১০ শ্রেনীর ছাত্র মো.মোসাদ্দেক হোসেন বলেন শিক্ষকরা জাতীর মেরুদন্ড আর এই শিক্ষকের উপর হাত তোলা কিছুতেই আমরা মেনে নিতে পারছিনা এর বিচার অবস্যই করতে হবে। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মো.মোশারফ হোসেন নসু , ভজন লাল দাস, মিজানুর রহমান খান ইরান,জিল্লু তালুকদার,মহাদেব রায়, প্রধান শিক্ষক নারায়ন চন্দ্র মন্ডল, সহ:প্রধান শিক্ষক ইসমাইল হোসেন সরকার,শিক্ষক স্বপন কুমার চৌধুরী,নিরঞ্জন মন্ডল,মো.আব্দুল হালিম,আবু নাসের খান লিমন ও লতিফা ইয়াসমিনসহ এলাকাবাসি ও অভিভাবকবৃন্দ। পরে লৌহজং থানার ওসি আনিচুর রহমান এসে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-ছাত্রীদের আস্তত করে বলেন খুব দ্রুত বখাটে সজিব ও তার সহযোগিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে ।আর এ আস্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের অবোরোধ তুলে নিলে শুরু হয় ঢাকা-মাওয়া- খুলনা –মহাসড়কের যানচলাচল ।