গাংনীর আলোচিত খোকন ও রাফিজুলের বিরুদ্ধে ধর্ষনের মামলা রেকর্ড আসামিরা ধরাছোয়ার বাইরে
মেহেরপুর প্রতিনিধিঃ মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার জোড়পুকুরিয়া গ্রামের মৃত ময়নালের ছেলে আলোচিত কামরুজ্জামান খোকন ও একই উপজেলার বাহাগুন্দা গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে রাফিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে গাংনী থানায় ধর্ষন মামলা রেকর্ড হয়েছে।
এদিকে মামলা রেকর্ড হওয়ায় আসামিরা গা ঢাকা দিয়েছে এবং বিভিন্ন মহলে দৌড় ঝাপ শুরু করেছে।
মামলা সুত্রে জানা যায়, পহেলা অক্টবর রবিবার সকাল ৯ টার দিকে অভিযোগ কারি কলেজ ছাত্রীকে গাংনীর এস এম প্লাজা মার্কেট থেকে জোর করে অভিযুক্ত রাফিজুলের সহযোগিতায় আসামি কামরুজ্জামান খোকন মটর সাইকেল যোগে গাংনী হাসপাতালের পিছনের জনৈক ডালিয়ার বাড়িতে আটকিয়ে রাখে এবং সাদা কাগজে স্বাক্ষর করে অভিযুক্ত আসামি কামরুজ্জামান দাবি করে বিয়ে হয়ে গেছে। পরে সে ঘরে তাকে আটক করে রেখে প্রায় ১০ দিন ধরে অভিযোগ কারি কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষন করে। এদিকে মেয়ের খোঁজ না পেয়ে তার বাবা চলতি মাসের ৫ তারিখে গাংনী থানায় জিডি করে যার নং ২৪০।
পরে থানায় জিডির খবর পেয়ে আসামি কামরুজ্জামান খোকন ও তার সহযোগি আসামি রাফিজুল ইসলাম বিভিন্ন মহলে দৌড় ঝাপ শুরু করে।
এদিকে আসামিরা প্রভাবশালি বলে দাবি করে অভিযোগ কারি সঠিক বিচার পাবেন কিনা এ নিয়ে আশংকা প্রকাশ করেন।
এদিকে আসামি কামরুরুজ্জামানের বিরুদ্ধে তার নানান কু-কর্মের কথা স্থানীয় সুত্রে প্রকাশ পায়।
তাতে জানা যায়, পল্লি বিদ্যুতের ইলেক্ট্রিশিয়ানে কর্মরত অবস্থায় অনেক মানুষের সাথে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় ধর্ষনের আসামি কামরুজ্জামান খোকন। তার এ প্রতারণা ব্যাপক আকার ধারণ করলে স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয় এক পর্যায়ে পল্লি বিদ্যুতের কর্তৃপক্ষ কামরুজ্জামানের ইলেক্ট্রিশিয়ানের লাইসেন্স জব্দ করে। তাতেও সে তার প্রতারণা বন্ধ না করে আরো জোরে শোরে চালাতে থাকে।
পরে এ কাজে সহযোগি হিসেবে সাথে নেয় বাহাগুন্দা গ্রামের রাফিজুল ইসলামকে। যে এ মামলার ২ নং আসামি। একটি সুত্রে জানা যায়, রাফিজুল ইসলাম বিভিন্ন জায়গায় নিজেকে প্লানিং মাষ্টার পরিচয় দিয়ে এলাকার সহজ সরল মানুষের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় এরা দুজন।
ধর্ষন মামলা সুত্রে জানা যায়, অভিযোগ কারি ছাত্রীকে কামরুজ্জামান ধর্ষন করে এবং তা ভিডিও করে রাফিজুল ইসলাম। এবং এই ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেবে বলে ভয় দেখিয়ে অভিযোগকারি কলেজ ছাত্রীকে জিম্মি করে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে এজাহারে উল্লেখিত ১ নং আসামি কামরুজ্জামান দিনের পর দিন ধর্ষন করতে থাকে।
এদিকে মামলা রেকর্ড দু’দিন অতিবাহিত হলেও আসামিদেরকে পুলিশ গ্রেফতার না করায় বাদি পক্ষ হতাশা প্রকাশ করেছে।
এ বিষয়ে গাংনী থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, আসামিদেরকে ধরার জন্য পুলিশ তৎপর রয়েছে। যে কোন সময় আসামিদের গ্রেফতার করা হবে।