সুনামগঞ্জের লাকমা ও টেকেরঘাট সীমান্ত দিয়ে ৩৩ টন কয়লা পাচাঁরের অভিযোগ
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার টেকেরঘাট ও বালিয়াঘাট বিজিবি ক্যাম্পের লাকমাছড়া ও টেকেরঘাট সীমান্তের ১১টি চোরাই গুহা দিয়ে ভারত থেকে ৩৩টন (৮০-৮৫কেজি ওজনের ৪৬২বস্তা) কয়লা পাচাঁর করেছে এলাকার চিহ্নিত চোরাচালানীরা। পাচাঁরকৃত কয়লার বর্তমান বাজার মূল্য ১মেঃটন ১০হাজার টাকা করে ৩৩মেঃটন কয়লার মূল্য মোট ৩লক্ষ ৩০হাজার টাকা। গতকাল ২৩.১০.১৭ইং সোমবার রাত ২টা থেকে আজ ২৪.১০.১৭ইং মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত চোরাচালানীরা ভারত থেকে ওপেন কয়লা পাচাঁর করলেও বিজিবি এব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।
এলাকাবাসী জানায়,উপজেলার উত্তরশ্রীপুর ইউনিয়নের দুধেরআউটা গ্রামের চাঁদাবাজি মামলা নং-জিআর ১৬৩/০৭ইং এর জেলখাটা আসামী চিহ্নিত চোরাচালানী ও ইয়াবা ব্যবসায়ী জিয়াউর রহমান জিয়া,তার সহযোগী লাকমা গ্রামের আব্দুল হাকিম ভান্ডারী,ইদ্রিস আলী,লালঘাট গ্রামের চাঁদাবাজি,হুন্ডি,মদ পাচাঁর ও বিজিবির ওপর হামলার মামলাসহ একাধিক মামলার জেলখাটা আসামী কালাম মিয়ার নেতৃত্বে লাকমা গ্রামের চিহ্নিত চোরাচালানী রতন মহলদার,মানিক মহলদার,কামরুল মিয়া,তিতু মিয়া,রফিকুল ইসলাম ও আইয়ুব আলী গং প্রতিদিনের মতো গতকাল ২৩.১০.১৭ইং সোমবার রাত ২টা থেকে আজ ২৪.১০.১৭ইং মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত লাকমাছড়ার পূর্ব দিকে অবস্থিত ৫টি ও টেকেরঘাটে অবস্থিত ৬টি চোরাই গুহা দিয়ে ভারত থেকে ৩৩টন কয়লা ওপেন পাচাঁর করে ট্রলি দিয়ে বালিয়াঘাট বিজিবি ক্যাম্পের সামনে অবস্থিত ড্রাম্পের বাজারে নিয়ে মজুত করে পাটলাই নদীতে ২টি ইঞ্জিনের নৌকা বোঝাই করে। কিন্তু বিজিবি এব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেয়নি। পাচাঁরকৃত ১ বস্তা চোরাই কয়লা থেকে বালিয়াঘাট বিজিবি ক্যাম্পের নামে ৭০টাকা,থানা-পুলিশের নামে ৫০টাকা,টেকেরঘাট কোম্পানী কমান্ডারের নামে ২০টাকা,এফএস শহিদের নামে ১০টাকা,স্থানীয় সাংবাদিকদের নামে ৫০টাকাসহ মোট ২২০টাকা চাঁদা উত্তোলন করে বালিয়াঘাট বিজিবি ক্যাম্পের সোর্স পরিচয় দিয়ে চোরাচালানী কালাম মিয়া,ইদ্রিস আলী,জিয়াউর রহমান জিয়া ও টেকেরঘাট ক্যাম্পের সোর্স পরিচয় দিয়ে আব্দুল হাকিম ভান্ডারী।
এব্যাপারে টেকেরঘাট ও বড়ছড়া শুল্কষ্টেশনের ব্যবসায়ী সবুজ মিয়া,জানে আলম,নুরে আলম,কফিল উদ্দিন,চান মিয়াসহ আরো অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,বিজিবির সহযোগীতায় চোরাচালানীরা প্রতিদিন ভারত থেকে ওপেন লক্ষলক্ষ টাকার কয়লা,ইয়াবা,হেরুইন ও মদ-গাঁজা পাচাঁর করছে,এটা খুবই লজ্জাজনক ব্যাপার।
এব্যাপারে বালিয়াঘাট বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার সুবেদার কেরামত বলেন,কয়লা ও মাদকদ্রব্য পাচাঁরের বিষয়টি আমার জানা নেই,এব্যাপারে খোঁজ নিয়ে দেখব।
সুনামগঞ্জ ২৮ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক নাসির উদ্দিন বলেন,সীমান্ত চোরাচালান প্রতিরোধে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে এবং থাকবে।