অভাবের তাড়নায়, দালালের খপ্পরে পড়ে যৌন ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ছে রোহিঙ্গা শিবিরে আশ্রয় নেওয়া নারী ও কিশোরীরা।
অভাবের তাড়নায়, দালালের খপ্পরে পড়ে যৌন ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ছে রোহিঙ্গা শিবিরে আশ্রয় নেওয়া নারী ও কিশোরীরা। আগে থেকেই এ পেশায় জড়িত প্রায় পাঁচ শতাধিক রোহিঙ্গা নারী। নতুন আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে থেকে ১০ হাজারের মতো নারী ও কিশোরী দালালের মাধ্যমে এ পেশায় ঢুকে যাওয়ার ঝুঁকিতে আছে। এরইমধ্যে অনেকে গোপনে এই নিষিদ্ধ পথে পা বাড়িয়েছে। তবে তারা এ কাজ করেন রোহিঙ্গা শিবিরের বাইরে। এমনকি কোন রোহিঙ্গা পুরুষের শয্যাসঙ্গিনীও তারা হন না। তাই রোহিঙ্গা শিবিরে গিয়ে এ ব্যাপারে কিছুই বোঝার উপায় নেই। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এসব তথ্য। প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে নানাভাবে এই নিষিদ্ধ পথে পা বাড়ানো নারীদের না বলা কথা।
বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় রোহিঙ্গা শিবিরটি কক্সবাজারের উখিয়ায় অবস্থিত কুতুপালংয়ে। এক প্রতিবেদনে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ১৯৯২ সালে স্থাপিত এ শিবিরের প্রায় ৫০০ রোহিঙ্গা কিশোরী ও নারী যৌন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। নতুন ছয় লাখ রোহিঙ্গার মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এবার তাদের মধ্য থেকে আরও ১০ হাজার কিশোরী ও নারী এ পেশায় যুক্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
রোহিঙ্গা শিবিরে যৌনব্যবসায় মধ্যস্থতাকারী নূর নামের এক ব্যক্তির উদ্ধৃতি দিয়ে রয়টার্স জানায়, কুতুপালংয়ে কমপক্ষে ৫০০ রোহিঙ্গা নারী আছেন যারা এ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। এসব নারীর অনেকে বছরের পর বছর ধরে কুতুপালং শিবিরেই আছেন। নিয়োগকারীরা এখন পালিয়ে আসা নতুন রোহিঙ্গা নারীদের নিয়োগে আগ্রহী হচ্ছে।