নির্বাচনের আগে ‘পাশ’ দুর্জয়ও
বিসিবির পরিচালনা পরিষদ হবে ২৫ জনের। বিভিন্ন ক্যাটাগরি থেকে এনএসসি কোটাসহ ২২ জন প্রার্থী ইতিমধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় পরিচালক হিসেবে নিশ্চিত হয়েছেন। নির্বাচন হওয়ার কথা ঢাকা বিভাগ (দুটি পদ) এবং বরিশাল বিভাগে (একটি পদ)। মঙ্গলবার নাজমুল হাসান পাপন জানালেন, ঢাকা বিভাগ থেকে দুই পদের একটিতে সাবেক ক্রিকেটার নাঈমুর রহমান দুর্জয়ও (এমপি) নিশ্চিত হয়ে গেছেন। এই অঞ্চলের ১৭ জন ভোটার মৌখিকভাবে তাকে সমর্থন করেছেন।
এদিন মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে নাজমুল হাসান বলেন, ‘আমি আগেও বলেছিলাম, নির্বাচন হতে পারে শুধু ঢাকা ও বরিশালে। তবে ঢাকা থেকে আমার প্যানেলে থাকা জাতীয় টেস্ট দলের সাবেক অধিনায়ক নাঈমুর রহমান দুর্জয় এরইমধ্যে নিশ্চিত হয়ে গেছেন।’
ঢাকার বাকি একটি পদের জন্য লড়াই করবেন ৪ জন। তারা হলেন, নারায়নগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক তানভির আহমেদ টিটু, কিশোরগঞ্জ থেকে সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম, নরসিংদী থেকে শাহিনুল ইসলাম ভুইয়া ও মুন্সিগঞ্জ থেকে জুনায়েদ হোসেন। এখানে আরেকজন প্রার্থী ছিলেন। তিনি হলেন গোপালগঞ্জের শেখ ফজলে নাইম। তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেননি বলে জানা গেছে।
এবার দুর্জয় বিসিবির কাউন্সিলর হন নিজ জেলা মানিকগঞ্জ থেকে। মঙ্গলবার মনোনয়নপত্র জমা দিতে বিসিবিতে আসেন মানিকগঞ্জের সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে। দুর্জয়ের নামে তাদের স্লোগান দিতে দেখা যায়। পরে নাজমুল হাসান তার কাঁধে হাত রেখে বলে দেন, ঢাকা বিভাগের সব কাউন্সিলররা দুর্জয়কে সমর্থন করেছে।
আগের কমিটিতে দুর্জয় ছিলেন ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান। জাতীয় দলের হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের সঙ্গে কিছু বিষয় নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। নাজমুল হাসানের সঙ্গেও তার বিরোধের কথা শোনা যায়। নির্বাচনের আগে গুঞ্জন ছিল এবার তিনি বোর্ড পরিচালকও হতে পারছেন না। তবে সব ‘সমস্যা’ মিটিয়ে ফেলতে সক্ষম হন।
সামনের মেয়াদে কতটা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবেন বলে মনে হয়, এমন প্রশ্নের জবাবে দুর্জয় বলে যান, ‘দেখেন কাজ করতে গেলে মতবিরোধ হবেই। এখানে যা হয়েছে সেটি আমরা নিজেরা বসেই সমাধান করে ফেলি। কাজ করলে কথা হবে। না করলে তো আর কোন কথা হয় না। কাজ করতেই এসেছি। আমাকে ঢাকা বিভাগের কাউন্সিলররা সমর্থন জানিয়েছেন। আরেকজন যেই আসুক তার জন্য আমার শুভকামনা। চাই ক্রিকেট নিয়ে কাজ করবে এমন কেউ আসুক।’
অন্যদিকে বরিশাল বিভাগ থেকে একটি পরিচালক পদে মুখোমুখি হয়েছেন বোর্ডের সাবেক পরিচালক এম এ আউয়াল ভুলু ও আলমগীর হোসেন আলো। এর মধ্যে ভুলু নাজমুল হাসানের প্যানেলের। যদি শেষ পর্যন্ত দু’জনের একজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করেন তাহলে এখানে নির্বাচন হবে।