ফেনীতে দৃষ্টি ও শারীরিক প্রতিবন্ধীদের পাশে যুবলীগ নেতা মিষ্টার
এম.রফিকুল ইসলাম:
ফেনী জেলা যুবলীগ নেতা মিষ্টার সব কিছুতে বরাবরই ব্যতিক্রম। তেমনি আরেকটি ব্যতিক্রমী ঘটনার জন্মদিলেন। প্রায় ৬০জন দৃষ্টি ও শারীরিক প্রতিবন্ধীকে শহরের অভিজাত হোটেল নাহার রেস্টুরেন্টে খাওয়ানোর মাধ্যমে । যদিও অনেক শারিরীক প্রতিবন্ধী কে সিড়িতে হামাগুড়ি দিয়ে হোটেলে কক্ষে প্রবেশ করা কষ্টকর ছিলো তবুও এমন হোটেলে খেতে পেরে অনেক খুশি প্রতিবন্ধীরা। তেমনটাই বলছিলেন বেশ কয়েকজন প্রতিবন্ধী। আবার অনেক প্রতিবন্ধী জানায় এমন খাবার সর্বশেষ কবে খেয়েছি তা বলতে পারবেনা।
শারীরিক অসুস্থতার জন্য তিনি উপস্থিত থাকতে না পারলেও তার পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ফেনী জেলা যুব মহিলা লীগ নেত্রী মনজিলা আক্তার মিমি, যুবলীগ নেতা রাসেল, রাজন, পারভেজ ও ছাত্রলীগ নেতা শাকিলসহ অন্যরা।
এ সময়ে মিষ্টার, যিনি এই খাওয়ারের আয়োজন করেছেন, তিনি অসুস্থ, কথাটা শুনে অনেক প্রতিবন্ধীর চোখে অশ্রু ও মিষ্টারের রোগ-মুক্তি কামনা করতে দেখা গেছে।। জেলা যুবলীগ নেতা জিয়াউল আলম মিষ্টারের মত সকল বিত্তবানদের উচিত এমন অসহায় মানুষের পাঁশে দাঁড়ানো। সচারচর অভিজাত হোটেলে আবার কোন নেতার অনুষ্ঠানে অতিথি হিসাবে যাদের দেখা যায় এখানে ব্যতিক্রম কেন, মোবাইলে জানতে চাইলে যুবলীগ নেতা জিয়াউল আলম মিষ্টার জানান, সপ্তাহ খানেক আগের ঘটনা। রাজধানী ঢাকার একটি অভিজাত হোটেলে খাচ্ছিলাম। খাওয়ার সময় হঠাৎ তার চোখ আটকে গেল হোটেলের বাহিরে দাঁড়িয়ে থাকা একজন অসহায় প্রতিবন্ধীর দিকে। তখন ভাবতে লাগলেন তারাও তো আমাদের মত মানুষ।তাদের ও তো সাধ আছে দামি হোটেলে খাওয়ার। সেদিন তিনি মনে মনে ঠিক করলাম প্রতিবন্ধীদের নিয়ে আমি একদিন একসাথে হোটেলে খাবেন। যেই কথা সেই কাজ। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস জুমার নামায শেষে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মনের আশাটা পূরন করা গেলো না।
এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন সাপ্তাহিক ফেনীর সমসাময়িক সম্পাদক রোখসানা ছিদ্দিকী, সমাচার সম্পাদক মহিবুল্যাহ ফরহাদ, ফেনীর সময় চীফ রির্পোটার আরিফ আজম, দুলাল তালুকদার ও দৈনিক আমাদের কন্ঠের চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রতিনিধি এম.রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।