শৈলকুপায় কোচিং সেন্টারের দৌরাত্মে অসহায় স্কুল; ইউএনও'র জরুরী পদক্ষেপ গ্রহণ
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার গাড়াগঞ্জে স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা কোচিং এর দৌরাত্মের কারণে স্কুলে যেতে পারছে না। সকালে স্কুলে সময়ে তারা (শিক্ষার্থীরা) বিভিন্ন কোচিং-এ কোচিং করায় ব্যস্ত হয়ে পড়ছে। শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরাও এ ব্যাপারে অনেকটা উদাসীন। স্কুল টাইমে কোচিং বন্ধ রাখতে এবং যথা সময়ে সকল ছাত্র-ছাত্রী যাতে স্কুলে যেতে পারে সে ব্যাপারে শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ উসমান গণি সরেজমিনে কাজ চালাচ্ছেন। প্রাপ্ত তথ্য মতে, ৬ষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থী ২১৪জন, উপস্থিত ৩৩ জন; ৯ম শ্রেণির মোট শিক্ষার্থী ২১১ জন, উপস্থিত ২৮ জন; ৭ম শ্রেণির মোট শিক্ষার্থী ১৬৪ জন, উপস্থিত ৩৪জন। শ্রেণি কক্ষে উপস্থিত ছাত্র-ছাত্রী নিকট থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থী গাড়াগঞ্জে অবস্থিত ১১টি কোচিং সেন্টারে কোচিং করে। প্রতিদিন ভোর থেকে সকাল ৯.০০-৯.৩০ পর্যন্ত কোচিং চলে। কোচিং শেষ করে শিক্ষার্থীরা আর স্কুলে যায় না। ছাত্র-ছাত্রীদের নিকট থেকে প্রাপ্ত একটি পরিসংখ্যান নি¤েœ দেওয়া হলো: ৬ষ্ঠ শ্রেণিঃ আজ সকালে গাড়াগঞ্জ পূর্বাশা কোচিং সেন্টারে গিয়েছে ৩০ জন, তন্মধ্যে শ্রেণি কক্ষে উপস্থিত ৭জন; মডার্ণ কোচিং সেন্টারে গিয়েছে ৪০ জন, তন্মধ্যে শ্রেণি কক্ষে উপস্থিত ৬ জন; জামান কোচিং সেন্টারে গিয়েছে ৪০জন, তন্মধ্যে শ্রেণি কক্ষে কেউ উপস্থিত নাই; ফেবারিট কোচিং সেন্টারে গিয়েছে ৩০জন, শ্রেণি কক্ষে কেউ উপস্থিত নাই; এএইচএসসি কোচিং সেন্টারে গিয়েছে ১৬জন, শ্রেণি কক্ষে উপস্থিত ২ জন। এছাড়া মামুন, ফেবারিট বা অন্যান্য কোচিং সেন্টারে কতজন গিয়েছে তা জানা যায়নি, কারণ এসব কোচিং সেন্টারে পড়ুয়া কেউ শ্রেণি কক্ষে উপস্থিত নাই ৭ম শ্রেণিঃ আজ সকালে গাড়াগঞ্জ পূর্বাশা কোচিং সেন্টারে গিয়েছে ২৯ জন, তন্মধ্যে শ্রেণি কক্ষে উপস্থিত ১জন; মডার্ণ কোচিং সেন্টারে গিয়েছে ২২ জন, তন্মধ্যে শ্রেণি কক্ষে উপস্থিত ৮ জন; প্রাইড কোচিং সেন্টারে গিয়েছে ৮জন, শ্রেণি কক্ষে উপস্থিত ১জন; মেরিট কোচিং সেন্টারে গিয়েছে ২জন, শ্রেণি কক্ষে উপস্থিত ১জন। এছাড়া জামান, এইচএসসি, মামুন, ফেবারিট ইত্যাদি কোচিং সেন্টারে কতজন গিয়েছে তা জানা যায়নি, কারণ এসব কোচিং সেন্টারে পড়ুয়া কেউ শ্রেণি কক্ষে উপস্থিত নাই। ৯ম শ্রেণিঃ আজ সকালে গাড়াগঞ্জ পূর্বাশা কোচিং সেন্টারে গিয়েছে ১৬ জন, তন্মধ্যে শ্রেণি কক্ষে উপস্থিত ৪জন; মডার্ণ কোচিং সেন্টারে গিয়েছে ১১ জন, তন্মধ্যে শ্রেণি কক্ষে উপস্থিত ৫ জন। এছাড়া জামান, এইচএসসি, মামুন, প্রাইড, ফেবারিট ইত্যাদি কোচিং সেন্টারে কতজন গিয়েছে তা জানা যায়নি, কারণ এসব কোচিং সেন্টারে পড়ুয়া কেউ শ্রেণি কক্ষে উপস্থিত নাই। উল্লেখ্য, পরীক্ষার কারণে ৮ম ও ১০ শ্রেণির ক্লাস ছিল না। শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার জরুরী ঘোষণাঃ ১। যে কোচিং সেন্টার সকালে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কোচিং করাবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং কোচিং সেন্টার সিলগালা করা হবে। ২। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী কোন শিক্ষার্থী ৭৫% এর নিন্মে শ্রেণি কক্ষে উপস্থিত থাকলে উক্ত শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না।