শ্রীপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের নোট ও গাইড বই কিনতে বাধ্যকরার অভিযোগ
শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি :
সরকার নিষিদ্ধ করার পরও গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার ১৫২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের নোট ও গাইড বই কিনতে বাধ্য করেছেন বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে এক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
শিক্ষকদের তথ্যমতে, গত তিন মাস যাবৎ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার প্রতিষ্ঠান গুলোর প্রধান শিক্ষকদের মাধ্যমে নোট, গাইড ও সাজেশন্স বই শিক্ষার্থীদের কিনতে বাধ্য করিয়েছেন এবং প্রতিটি বইয়ের মূল্য বাবাদ ১’শ টাকা করে আদায় করছেন।ঘটনার সত্যতা নিশ্চিতে সরেজমিনে মাওনা ১নং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গেলে৫ম শ্রেণীর সকল শিক্ষার্থীদের হাতে সাজেসন্স বই পাওয়া যায়।
টেপিরবাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সরকারী শিক্ষক লুৎফর রহমান ফরহাদ বলেন, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্র্তা কামরুল হাসান যোগাদানের পর থেকেই নোট ও গাইড বইয়ের প্রচলন তৈরী করে তা বাধ্যতামুলক হিসেবে মৌখিক নোটিশ জারি করেছেন। সরকারী ভাবে এসব নিষিদ্ধ থাকার পরও এগুলো বাধ্যতামুলক করায় প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নিকট আবেদন করা হয়েছে।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক গাজীপুর ইউনিয়নের এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানান,প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আমাদেরকে এসব বই বিক্রি করার জন্য আদেশ করেছেন।অনেক সময় শিক্ষা কর্মকর্তার আদেশ মানতে আমরা বাধ্য।
মাওনা ১নং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল কবির খান বলেন, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের আদেশেই আমরা ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে এসব বই বিক্রি করেছি।
একই বিদ্যালয়ের ৫ম শেণীর শিক্ষার্থী ফামমিদা আক্তার বলেন,প্রধান শিক্ষক আমাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে বই দিয়েছেন।
এব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কামরুল হাসান বলেন, এসব নোট ও গাইড সাজেসন্স সরকারী ভাবে অবৈধ, কেউ হয়তো নিজেরা লাভবান হতে আমার উপর দোষ চাপাচ্ছেন। এর সাথে আমি জড়িত নই।
গাজীপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শফিউল আলম বলেন নানা অনিয়মের বিষয়ে আমি সংবাদ পেয়েছি তদন্ত পূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শিক্ষকের অভিযোগ পাওয়ার কথা শিকার করে জেলা প্রশাসক ড:দেওয়ান হুমায়ুন কবির জানান,অভিযোগ তদন্তের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।প্রমাণ হলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।