ফসবুকে খবর পড়ে হুইল চেয়ার পেলেন হাসপাতালে ভর্তি বৃদ্ধা কল্পনা
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে খবর পড়ে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি বৃদ্ধা কল্পনা (৬০) কে হুইল চেয়ার প্রদান করা হয়েছে। ৩১.১০.২০১৭ ইং মঙ্গলবার দুপুরে বিশিষ্ট ব্যাসায়ী ও রাজনীতিবিদ এ্যাড. হাজী মুন্সী কামাল আজাদ পান্নুর পক্ষ থেকে বৃদ্ধার হাতে হুইল চেয়ার তুলে দেন ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের তত্তাবধায়ক ডা: আয়ুব আলী ও অর্থপেডিক্স বিশেষজ্ঞ ডা: গাজী আহসানুল মুনির। সদর হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে, গত ২২/০৭/১৭ তারিখে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত অবস্থায় অজ্ঞাত এক যুবক বৃদ্ধা কল্পনাকে হাসপাতালে ভর্তি করে দেন। সেই থেকেই তিনি জেলা সদর হাসপাতালের মহিলা সার্জারী ওয়ার্ডের বারান্দায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। নিজের আপন বলতে কেউ না থাকায় হাসপাতাল ও ভর্তি অন্যান্য রুগীদের দেওয়া খাবার খেয়েই দিন কাটছিল তার। মানুষকে দেখলেই বলতো বাবা আমাকে বাচাও, আমি মরে যাচ্ছি। সেই থেকেই তার চিকিৎসা দিচ্ছেন অর্থপেডিক্স বিশেষজ্ঞ ডা: গাজী আহসানুল মুনির। ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের অর্থপেডিক্স বিশেষজ্ঞ ডা: গাজী আহসানুল মুনির জানান, বৃদ্ধা কল্পনার মাজার হাড় ভেঙে গেছে। এ অবস্থায় তার অপারেশন করে সেখানে বল সংযোজন করা প্রয়োজন। কিন্তু বয়স বেশী হওয়ায় ও নিজের দেখভাল করার মত কেউ না থাকায় অপারেশন খুবই ঝুকি পূর্ণ। তাই হাসপাতালে রেখেই চিকিৎসা করা হচ্ছে। এ অবস্থায় শারীরিক স্বুস্থতা আনতে চলাফেরার জন্য তার হুইল চেয়ার প্রয়োজন। চিকিৎসকের এমন পরামর্শ ও ফেসবুক সহ বিভিন্ন মাধ্যমে বৃদ্ধা কল্পনার এমন দুরাবস্থার কথা জানার পর সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন ঝিনাইদহের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও রাজনীবিদ এ্যাড. হাজী মুন্সী কামাল আজাদ পান্নু। এ্যাড. হাজী মুন্সী কামাল আজাদ পান্নু জানান, বিপদে মানুষ মানুষের পাশে দাড়াবে এটাই স্বাভাবিক। ঘটনাটি জানার পর ডাক্তারের সাথে কথা বলে বৃদ্ধা কল্পনাকে হুইল চেয়ার দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে তার চিকিৎসার জন্য যাযা প্রয়োজন তাই করা হবে। বহু বছর আগে ঝিনাইদহের এক ব্যক্তি কুড়িয়ে পান বৃদ্ধা কল্পনাকে। কল্পনার বয়স যখন ১০ বছর তখন সেই ব্যক্তি মারা যাবার পর পৃথিবীতে একা হয়ে পড়েন। এরপর সমাজের নিষ্টুরতায় ভিক্ষাবৃত্তি করে দিনপার করতেন তিনি। সর্বশেষ তিনি জেলা শহরের পুরাতন ডিসি কোর্টের বারান্দায় থাকতেন। আর সদর থানার সামনে ফুটপাতে বসে ভিক্ষা করতেন। তাও কেউ একজন তাকে সকালে বসিয়ে দিয়ে যেতেন আবার সন্ধ্যায় নিয়ে যেতেন, দিন শেষে ভিক্ষাবৃত্তির যে টাকা হত তাও জুটতোনা কল্পনার কপালে। গেল প্রায় ৪ মাস কেউই খোজ নেয়না তার।