এবার রাজশাহীর এমপিদের টার্গেট সিটি ভোট
রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে এবার সক্রিয় থাকবে সংসদ সদস্যরা। গত নির্বাচনে তেমন তৎপরতা দেখা না গেলেও এবার রাসিকের ভোটের মাঠে সক্রিয় থাকতে চান রাজশাহীর সাংসদরা। দলীয় প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত করতে এবার রাসিক নির্বাচনে সময় দিতে চান তারা। এ নিয়ে আওয়ামী লীগের হাই কমান্ড থেকেও শক্ত নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে সাংসদের একাধিক ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে। সূত্রগুলো জানান, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে রাসিক নির্বাচনকে অত্যান্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন রাজশাহীর সাংসদরা। কারণ এবারের রাসিক নির্বাচনের জয় পরাজয়ের বড় ধরণের প্রভাব পড়বে সংসদ নির্বাচনের রাজশাহীর ছয়টি আসনেই। ফলে রাসিক নির্বাচন নিয়ে এবার ঝুঁকি নিতে চান না রাজশাহীর সাংসদরা। দলীয় প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত করতে ভোটের মাঠে তারা সক্রিয় থেকে সব ধরণের সহযোগিতা দেবেন তারা। এ নিয়ে আওয়ামী লীগের হাই কমান্ড থেকেও রাজশাহীর সাংসদের দিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে সূত্রটি জানায়। এবার প্রথম বারেরমত সিটি করপোরেশন নির্বাচন হবে দলীয় প্রতীকে। রাজশাহীতে নৌকার প্রার্থী হতে ইতোমধ্যে দলের হাই কমান্ড থেকে সাবেক মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে নির্দেশনা দিয়েছে। দলের হাই কামান্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী খায়রুজ্জামান লিটন ইতোমধ্যেই ভোটের প্রচারণায় মাঠে নেমে পড়েছেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন মেয়র নির্বাচিত হন। সে নির্বাচনে রাজশাহী আওয়ামী লীগের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা এক সঙ্গে মাঠে থেকে তার নির্বাচনী প্রচারণা চালায়। এতে বিপুল ভোটে বিজয়ী হন তিনি। এ নির্বাচনে প্রভাব পড়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে। যার প্রভাবে আওয়ামী লীগ জয় পায় রাজশাহীর জয়টি আসনে। তবে ২০১৩ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের একটি অংশ নিষ্কৃয় ছিল। এতে খায়রুজ্জামান লিটন বিএনপির প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন। এদিকে, গত মঙ্গলবার দুইদিনের রাজশাহী সফরে এসে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে সংসদ সদস্য ও নেতাকর্মীদের দিক নির্দেশনা দিয়ে যান। একই সঙ্গে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে যারা নৌকার বাইরে থাকবে তাদের জন্য আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার পথ বন্ধ হয়ে যাবে বলেও হুশিয়ারি দিয়েছেন ওবায়দুল কাদের। যা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা বলে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন। রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার বলেন, রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচন আওয়ামী লীগের হাই কমান্ড থেকে মনিটরিং করা হবে। বিশেষ করে সিটি নির্বাচনে কে কেমন ভূমিকা রাখছেন সেটি খতিয়ে দেখবেন দলের হাই কমান্ড। ফলে এবারের রাসিক নির্বাচন রাজশাহী আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের একটি বড় পরীক্ষা মনে করছেন তিনি। রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, রাজশাহীর রাজনীতি ও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাসিক নির্বাচনকে অত্যান্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। এ নির্বাচন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের রাজশাহী সফর কালে বেশ কিছু দিক নির্দেশনা দিয়ে গেছেন। জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ছাড়াও রাজশাহীর সংসদ সদস্যদের ওই নির্দেশনা দিয়েছেন। কেন্দ্রের দিক নির্দেশনা অনুযায়ী সিটি নির্বাচনে রাজশাহীর এমপিরাসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ভোটের মাঠে থাকবে।