হরিণাকুন্ডু সাবরেজিষ্ট্রি অফিসে দলিল গায়েবের ঘটনা ধামাচাপা দিতে ফের দুইটি দলিল রেজিষ্ট্রি সম্পন্ন
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু সাবরেজিষ্ট্রি অফিস দুর্নীতিবাজদের নিয়ন্ত্রনে। এ দপ্তরে ঘুষ ছাড়া কোন কাজই হয়না। সাব-রেজিষ্ট্রার, সহকারি, নাইট গার্ড, মোহরারসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দায়িত্ব অবহেলা, অসদাচরণসহ দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। গায়েব করে দেয়া হয়েছে ৪টি রেজিষ্ট্রি করা দলিল। এ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। দলিল গ্রহীতা এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট দেওয়ানী আদালতে সাবরেজিষ্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। দলিল গায়েব করার ঘটনা ধামাচাপা দিতে আরো দুইটি দলিল রেজিষ্ট্রি করা হয়েছে। শুধু তাই নয় প্রকৃত ঘটনা আড়াল করতে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে দুইজনকে। এরা হলেন হরিণাকুন্ডু সাব রেজিষ্ট্রি অফিসের সহকারী মো: আমিরুল ইসলাম ও মোহরার মো: শামসুজ্জামান। জেলা রেজিষ্টার মো: আব্দুল মালেক খবরের সত্যতা স্বীকার করে মঙ্গলবার দুপুরে বলেছেন গত ১৮ অক্টোবর মহা পরিদর্শক (নিবন্ধন) এর দপ্তরের পরিদর্শক ( আই আর ও ) শামীমা সুলতানার নেতৃত্বে তদন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন মোতাবেক দায়ি ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। অভিযোগ করা হয়েছে হরিণাকুন্ডু সাবরেজিষ্ট্রি অফিসে ঘুষ ছাড়া কাজ হয়না। চলতি বছরের ১১ জানুয়ারী হরিণাকুন্ডু সাব রেজিষ্ট্রি অফিস থেকে চারটি ১০৪, ১০৫, ১০৬ ও ১০৭ দলিল গায়েব করা হয়। এর মধ্যে ১০৫ নং দলিলের গ্রহীতা উপজেলার পায়রাডাঙ্গা গ্রামের মো: নাসির উদ্দিন বাদী হয়ে হরিণাকুন্ডু সহকারী জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন। যার নাম্বার দেওয়ানি ১৩২/২০১৭। এ মামলার এক মাত্র বিবাদি সাবরেজিষ্ট্রারের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন।
মামলার বাদি নাসির উদ্দিন বলেন দিনমুজুরী করে মাত্র ৭ শতক জমি কিনে বাড়ি করেছেন। সাবরেজিষ্ট্রার এখন দলিল দিচ্ছেনা। দলিল পাওয়ার জন্য মামলা করেছেন বলে দাবী করে সে। গত ১১ জানুয়ারি দলিল গুলো রেজিষ্ট্রি করা হয়। যার নাম্বার ১০৪, ১০৫, ১০৬ এবং ১০৭। এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে ৩০ অক্টোম্বর সোমবার ৪০১১ ও ৪০১৪ নাম্বার আরো দুইটি হেবা দলিল রেজিষ্ট্রি করা হয়েছে। বিশেষ একটি সুত্র জানায় ১০৬ নং দলিলের ঘটনা ধামাচাপা দিতে ৪০১১ নং দলিল করা হয়েছে এবং ১০৭ নং দলিল গায়েবের ঘটনা ধামাচাপা দিতে ফের ৪০১৪ নং দলিল করা হয়েছে । জেলা রেজিষ্ট্রারের দপ্তরের দুর্নীতিবাজ একটি চক্র দুর্ণীতিবাজদের পক্ষে প্রভাব খাটানোর জন্য মরিয়া হয়ে মাঠে নেমেছে। তারা একই জমির দত্তাকে দিয়ে নতুন দলিল করে কামিয়ে নিচ্ছে মোটা টাকা। সুত্র জানায় বুধবার অনুরুপ ভাবে আরো দুইটি দলিল রেজিষ্ট্রি করবেন সাবরেজিষ্ট্রার। আসল ঘটনা ধামাচাপা দিতে এ কাজ করছেন তিনি। এই রিপোর্ট লেখার সময় দুর্ণীতির অভিযোগ অস্বীকার করে সাবরেজিষ্ট্রার বলেছেন সব কিছু উচ্চপদস্থদের নির্দেশে করা হচ্ছে। এর বেশী কথা বলতে রাজি হননি সাবরেজিষ্ট্রার হাসানুজ্জামান।