কালীগঞ্জে যুবলীগ নেতার সংবাদ সম্মেলন খুনের ঘটনায় ব্যবহৃত অবৈধ অস্ত্রটি আমার নয়
কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধিঃ কালীগঞ্জের সাবেক এমপি পুত্র হাবিবুর রহমান ফয়সাল হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত অবৈধ অস্ত্রের মালিক আমি নই। একটি কুচক্রি মহল আমার সাফল্যে ঈর্ষানিত হয়ে বিভিন্ন প্রচার প্রপাগন্ডা চালিয়ে সামাজিক ভাবে আমার সুনাম ক্ষুন্ন করার চেষ্টা চালিয়ে আসছে বলে দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন কালীগঞ্জ পৌর যুবলীগের সভাপতি মোঃ বাদল হোসেন ভূইয়া।
গতকাল শনিবার সকালে কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় কর্মরত স্থানীয় সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বাদল হোসেন তার লিখিত বক্তব্য পাঠ করে বলেন, ৩ নভেম্বর আমাকে জড়িয়ে দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় “হত্যায় ব্যবহৃত অবৈধ পিস্তলটি পৌর যুবলীগ সভাপতির” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, মিথ্যা ও বানোয়াট। আমি প্রকাশিত মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদে আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে আমার অবস্থান তুলে ধরছি।
আমি ছাত্রলীগের সক্রিয় রাজনীতিতে জড়িত ছিলাম। অক্লান্ত পরিশ্রম ও অধ্যবসায়ের মাধ্যমে আমি প্রথমে কালীগঞ্জ ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পরে কালীগঞ্জ পৌর যুবলীগের সভাপতি নির্বাচিত হই। এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে আগামী পৌর নির্বাচনে ৪নং ওয়ার্ডের কমিশনার পদে প্রার্থী হতে আমি মানসিক প্রস্তুতি নিচ্ছি।
জীবিকার প্রয়োজনে আমি দেশের একটি সুনামধন্য বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে দায়িত্বশীল পদে কর্মরত এবং স্থানীয় বাজারে একটি হোটেল ব্যবসা পরিচালনা করছি। আমার অন্যান্য ভাইয়েরাও জীবিকার তাগিদে বৈধ ব্যবসা বাণিজ্য এবং বিদেশে অবস্থান করছে। একটি কুচক্রি মহল আমার সাফল্যে ঈর্ষানিত হয়ে সাংবাদিক ভাইদের ভুল, মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে একটি মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে। ফয়সাল খুনের ঘটনায় ব্যবহৃত অবৈধ অস্ত্রের মালিক আমি নই। ছাব্বিশ বছরের রাজনৈতিক জীবনে আমি কখনো অস্ত্রের রাজনীতি করিনি। আমার নামে থানায় কোন মামলাও নেই। ফয়সাল একজন সহজ, সরল ও নিরীহ প্রকৃতির ছেলে ছিল। হত্যাকারী রিমন পিস্তলটি হুমায়ুনের কাছ থেকে নিয়েছেন বলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে হুমায়ুন জানিয়েছে ঐ পিস্তলটি রিমনের। রিমন এই অস্ত্র দিয়ে এক বছর পূর্বে আমাকে লক্ষ্য করে গুলি করেছিল। তখন আমি প্রাণে বেঁচে যাই। বিষয়টি আমি মৌখিক ভাবে পুলিশকে জানিয়েছিলাম। এছাড়া রিমন চান্দাইয়া গ্রামের মাছ ব্যবসায়ী ক্ষিতিশ ও বড়নগর গ্রামের আরিফের মাথায় তার ঐ অবৈধ পিস্তল ঠেকিয়ে চাঁদা দাবি করেছিল। রিমন এলাকায় চিিহ্নত সন্ত্রাসী। তকার ভয়ে অবৈধ অস্ত্রটির ব্যাপারে কেউ কোনদিন মুখ খোলেনি। আমার উপর হামলার পর অবৈধ অস্ত্রের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।
সাংবাদিকগণ সমাজের দর্পণ। তাঁরা যদি ভুল তথ্যের ভিত্তিতে সংবাদ প্রেরণ করেন তাহলে তা দুঃখজনক। আজকের এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আমি আশা করছি নির্ভিক কলম সৈনিক হিসেবে আপনাদের লেখনির মাধ্যমে জাতির কাছে প্রকৃত তথ্য তুলে ধরবেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি পরিমল চন্দ্র ঘোষ, যুব বিষয়ক সম্পাদক মাইনুল ইসলাম, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী হারুন উর রশিদ টিপু, যুগ্ম সম্পাদক আরমান হোসেন, পৌর যুবলীগের সহ সভাপতি লোকমান হোসেন পনির, সাধারণ সম্পাদক রেজাউর রহমান আশরাফী খোকন, সদস্য ওয়াহিদুল ইসলাম সুমনসহ আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীবৃন্দ।
ক্যাপশনঃ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করছেন পৌর যুবলীগ সভাপতি মোঃ বাদল হোসেন ভূইয়া।