বাহুবলে ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপ নির্বাচন চান তারা’র লড়াইয়ে বিজয়ী তারা
ছনি চৌধুরী,হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : বাহুবল উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদের উপ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ প্রার্থী মোঃ তারা মিয়া (নৌকা) প্রতীকে ১৩১৬৪ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী বিএনপি মনোনীত প্রাথী মোঃ চান মিয়া (ধানেরশীষ) প্রতীকে প্রাপ্ত ভোট ১২৬৯৪। চান-তারা’র তুমুল হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে মাত্র ৪৭০ ভোটের ব্যবধানে বিএনপি প্রার্থী চান মিয়াকে পরাজিত করে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নাম লিখালেন আওয়ামীলীগ প্রার্থী মোঃ তারা মিয়া । শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বাহুবল উপজেলার ৬১টি কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নজরদারীতে বিশৃঙ্খল কোনো রকম ঘটনা ছাড়াই ভোটগ্রহণ সম্পূর্ণ হয় । ভোট গ্রহণ চলাকালীন সময় বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র পরির্দশন করেন হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক মনীষ চাকমা ও পুলিশ সুপার বিধান ত্রিপুরা । এ উপজেলায় ১লক্ষ ২৪ হাজার ১২০ জন নারী-পুরুষ ভোটার থাকলেও এ নির্বাচনে কাস্ট হয়েছে মাত্র ২৯৭৯১ ভোট । ভোট গ্রহণের সময় ভোটকেন্দ্রে ভোটরদের উপস্থিত ছিল খুব কম । শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার মো: নাজিম উদ্দিন এ ফলাফল ঘোষনা করেন। উপ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট চারজন প্রার্থী লড়াই করেন। প্রার্থীরা হলেন- সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মুক্তিযােদ্ধা ফিরুজ আলী মিয়া(তালা) প্রতীকে প্রাপ্ত ভোট ৩৭৬০ ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ডাঃ রমিজ আলী প্রাপ্ত ভোট ১০৭৩ । উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ১৯শে ফেব্র“য়ারি বাহুবল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ২২ শতাংশ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন তরুণ প্রার্থী মাওলানা শিহাব উদ্দিন সাকিব। খেলাফত মজলিসের সাবেক কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা নেজাম উদ্দিন তনয় মাওলানা শিহাব উদ্দিন সাকিব কিছুদিন ভাইস চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পালন শেষে স্ত্রীর কাছে আমেরিকা চলে যান। এরপর তিনি সেখানে স্থায়ী ভাবে বসবাস শুরু করেন। দীর্ঘদিন তিনি উপজেলা পরিষদের কার্যক্রমে অনুপস্থিত থাকায় এ ব্যাপারে স্থানীয় সরকার বিভাগে একটি অভিযোগ করেন সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ শেখ ফিরোজ মিয়া। সিলেট বিভাগীয় কমিশনার অভিযোগটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দিলে বিগত ৩১শে মে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ বাহুবল উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান শিহাব উদ্দিন সাকিবকে অপসারণ করে পদটি শূন্য ঘোষণা করে। এরপর উপজেলার সর্বত্র উপনির্বাচন নিয়ে জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়। পদ শূন্য হওয়ার প্রায় ৫ মাস পর এ উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।