গাংনীর গাড়াডোব গ্রামে ফজলু আদম দালালের খপ্পরে পড়ে দিশেহারা প্রতিকার চাইতে গেলে দালালের হুমকি
এম এ লিংকন,মেহেরপুর প্রতিনিধিঃ মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার গাড়াডোব গ্রামের এক যুবক আদম দালালের খপ্পরে পড়ে সর্বশান্ত হয়েছেন বলে জানান ঐ যুবক। সে গাড়াডোব গ্রামের পুকুরপাড়ার আঃ রহিমের ছেলে ফজলুল হক।
ভুক্তোভুগি ফজলুল হক জানান,বছর দু’য়েক আগে কাতারে কাজ পাইয়ে দেওয়ার চুক্তি অনুযায়ি আলমপুর গ্রামের মসলেম উদ্দিনের ছেলে মোঃ আতিয়ার রহমান আমার কাছ থেকে ৩ লাখ ২০ হাজার টাকার জমি রেজিষ্ট্রি করে যা পরে আমাকেই ফেরত দেবে এই শর্তে। ভুক্তোভুগি জানান, শর্ত অনুযায়ি আমি তার টাকা ফেরত দিয়ে দিই। কিন্তু সে আমার নামে জমি রেজিষ্ট্রি না করে তালবাহানা করতে থাকে। ফজলুল হক আরো জানান, কাতারে পাঠানোর সময় সে আমাকে টাইল্স মেশনের কাজ পাইয়ে দেওয়ার ভিসা দেয় যার বেতন কাতার রিয়াল অনুযায়ি ১২শ’ রিয়াল হওয়ার কথা। কিন্তু কাতারে গিয়ে আমাকে কৃষকের কাজ দেয় যার বেতন সর্ব সাকুল্যে ৯শ’ রিয়াল। তার পরও ২ বছরের ভিসার কথা বলে সেখানে আমাকে ১ বছর পরে আমাকে দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেয়।
এদিকে দেশে ফিরে দালাল আতিয়ারকে বিষয়টি জানালে সে এসব কথায় ভ্রুক্ষেপ না করে আবারো তালবাহানা করতে থাকে।প্রতারণার শিকার ফজলু আরো জানান জমি ফেরত পাওয়ার জন্য তাকে আমি বিদেশ থাকা অবস্থায় টাকা ফেরত দিই। কিন্তু প্রতারক দালাল আতিয়ার রহমান জমি ফেরত না দিয়ে সে আবারো ভালো বেতনে কুয়েতে ভালো কাজ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে এবং আরো সাড়ে ৩ লাখ টাকা নেয়। তাতে মোট আমার কাছ থেকে ৬ লাখ ৭০ হাজার টাকা সে হাতিয়ে নেয়। অনেক চাপাচাপি করার পর সে কুয়েতের ভিসা বলে একটি কাগজ ধরিয়ে দেয় সেটা ঢাকার একটি অফিসে যাচায় করলে তা ভুয়া বা জাল বলে প্রমাণিত হয়। এর পর থেকে সে আমাকে আমার টাকাও ফেরত দেয়না আবার ভিসাও দেয়না। উপরোন্ত সে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় বলে জানান ভুক্তোভুগি ফজলুল হক।
এদিকে প্রতারণার শিকার ফজলুল হক আরো জানান, বিষয়টি নিয়ে বেশ কয়েকবার স্থানীয় ভাবে মিমাংসার জন্য বসা হয়েছে কিন্তু আদম দালাল প্রতারক আতিয়ার রহমান মাতব্বরদের মিমাংসা না মেনে উল্টো আমার বাড়িতে পুলিশ পাঠিয়ে বাড়ি ছাড়ার চাপ দেয়।
ভুক্তোভুগি ফজলুল হক জানান, মঙ্গলবার সকালে আদম দালাল আতিয়ার রহমান ধুসার পাড়া আলমপুর নামক স্থানে আমাকে একা পেয়ে আমাকে মারতে আসে। পরে পথচারিদের সহায়তায় আমি বেঁচে যায়।
এদিকে সে আমাকে এসব কথা মাতব্বরদের জানালে সে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় এবং আমাকে গুম করে ফেলবে বলে অনবরত হুমকি দিতে থাকে।
ফজলুল হক আরো জানান, এসব হুমকি ধামকির বিষয়টি স্থানীয় এমপি ও নেতাদের জানালে তারা ব্যবাস্থা নেবে বলে আশ্বাস দেয়। একথা জানার পর আদম দালাল আতিয়ার রহমান এমপি নেতা দেখার সময় নেই এবং এমপি নেতারা আমার পকেটে থাকে বলে জানিয়ে দেয়।
এদিকে ফজলুল হক ঐ দালালের খপ্পরে পড়ে বর্তমানে খুব কষ্টে দিনাতিপাত করছে বলে স্থানীয় মাতব্বররা জানান। বিদেশ যাওয়ার আগে সে ব্যাবসা করে সংসার চালাতো তাতে তার মুটামুটি চলে যেত। ভাগ্য উন্নয়নের জন্য তাকে বিদেশে ভালো বেতনে চাকুরি পাইয়ে দেওয়ার নামে তার সাথে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বেশ খোশ মেজাজে এলাকায় ঘুরছেন আদম দালাল আতিয়ার রহমান। তার এ ধরণের প্রতারণার বিষয়ে ভুক্তোভুগি ফজলুল হক সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষন করেন।