খালি চোখে দেখে আসি “কাঞ্চনজঙ্ঘা চুড়া”
জিয়াউর রহমান :
বিশ্বের তৃতীয় দেশের উত্তরাঞ্চলের শেষ ভাগে পঞ্চ^গড়ের তেঁতলিয়ার পাশাপাশি নীলফামারীর সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে ও এবার খালি চোখেই হিমালয় পর্বতের “কাঞ্চনজঙ্ঘা চুড়া” দেখা যাচ্ছে । হিমালয়ের দ্বিতীয় এই পর্বতশৃঙ্গের মোহনীয় সে দৃশ্য মনোম্গুদ্বকর ।
আর তাই এ দু‘টি জেলা ছাড়া ও আশেপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রকৃতিপ্রেমীক মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন সীমান্তবর্তী খোলা উচুঁ স্থানগুলোতে ।
দর্শনার্থীরা জানিয়েছেন, আগে তো ভ্রমন প্রেমীক “কাঞ্চনজঙ্ঘা চুড়া” দেখতে তেঁতুিলয়ায় যেতে হতো। গত কয়েক বছরে ভ্রমন প্রেমীরা আসলেও ভালোভাবে দেখতে পারেনি ।
কিন্তু এখন নীলফামারীর চিলাহাটি, ডিমলার তিস্তা নদী ও নীলফামারী সদরের ইটাখোলা সহ বিভিন্ন স্থানের ফাঁকা যায়গায় দাঁড়ায়ে সর্ব উপরে তাকিয়ে দেখলে “কাঞ্চনজঙ্ঘা চুড়ার” বরফশুভ্র গায়ে সূর্য্যকিরণে চকচকে উজ্জল গাহাড়ের দৃশ্য দেখা যাচ্ছে অপরুপ দৃশ্য।
এর জন্য বাইনোকুলারের ও প্রয়োজন পড়ছে না । তাই মোহনীয় এ দৃশ্য সাধারন মানুষজন ও উপভোগ করেছেন ।
এ এলাকার বাসিন্দারা জানান, প্রকৃতিতে এখন প্রচন্ড শীতের আবহ, মেঘমুক্ত নীলাভ আকাশে জ্বল জ্বল করছে সূর্যকিরণ । স্বচ্ছ আকাশে দৃশ্যমান হালকা সাদা মেঘের ভেলা ।
তারা আরও জানান, আকাশে যখন মেঘ থাকে না, আবার কুয়াশা পড়াও শুরু হয় না, শুধু তখনই আমাদের এলাকা থেকে দেখা যায় বরফে ধবল পাহাড়ের চুড়া কাঞ্চনজঙ্ঘা।
সকাল প্রায় ৮টা থেকে সূর্যকিরণে স্পষ্ট হয়ে ধরা দেয় আর সকাল ১০টা পর্যন্ত দেখা যায় শৃঙ্গটি ।
তারপর আস্তে আস্তে ঝাপসা হতে থাকে “কাঞ্চনজঙ্ঘা চুড়াটি ”।
শেষ বিকেলে সূর্যকিরণে যখন তির্যক হয়ে পড়ে বরফ পাহাড়ে, তখন ফের অন্য এক মহিমায় দেখা যায় “কাঞ্চনজঙ্ঘা ঐ চুড়াটি” ।