ফেনীতে ইয়াবাসহ পুলিশ কর্মকর্তা গ্রেপ্তারের মামলায় পুলিশের আরেক কর্মকর্তা গ্রেপ্তার।
ফেনীতে র্যাবের হাতে প্রায় ৭ লাখ ইয়াবাসহ পুলিশের এসবি শাখার কর্মরত এএসআই মাহফুজুর রহমান গ্রেপ্তারের মামলায় তার স্বীকারোক্তিতে আরেক পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা এসবি এএসআই শাহীন মিয়াকে (৩৩) গ্রেপ্তার করে সিআইডি পুলিশের ফেনী টিম। ফেনী কোর্ট পুলিশের ওসি নজিবুল ইসলাম জানান, ঢাকায় এসবি পুলিশে কর্মরত এএসআ্ই শাহীন মিয়াকে ইয়াবা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে শুক্রবার দুপুরে ফেনী সিআইডি পুলিশ আদালত পুলিশে হস্তান্তর করে। পরে আদালত পুলিশ ফেনীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসেনের আদালতের মাধ্যমে ফেনী জেলা কারাগারে প্রেরণ করে। এর আগে এএসআই মাহফুজকে সিআইডি পুলিশ পূণ:রায় রিমান্ডে নিলে তার স্বীকারোক্তিতে সিআইডি পুলিশের টিম বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা এসবি শাহীন মিয়াকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার শাহীন মিয়া কুমিল্লা জেলার চান্দিনা থানার রুপনগর ইউনিয়নের এতবারপুর গ্রাম আবদুর রহমোনের ছেলে। ২০১৫ সালের ২০ জুন রাতে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর লালপোল এলাকায় র্যাব অভিযান চালিয়ে একটি প্রাইভেটকার থেকে ৬ লাখ ৮০ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেটসহ পুলিশের বিশেষ শাখার কর্মরত (এসবি-ঢাকা) এএসআই মাহফুজুর রহমান ও গাড়ি চালক জাবেদ আলীকে আটক করে। পরদিন ২১ জুন রাতে ফেনী মডেল থানায় র্যাব বাদি হয়ে ইয়াবাসহ আটক পুলিশ সদস্য মাহফুজুর রহমান, তার গাড়ি চালক জাবেদ আলী, কুমিরা হাইওয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আশিক ও কক্সবাজার গোয়েন্দা পুলিশের এসআই বেলালের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৭/৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। ২২ জুন দুপুরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গ্রেপ্তার পুলিশ সদস্য ও তার গাড়ি চালককে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত দুইজনের তিন দিন ও দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে। পরদিন ২৩ জুন রাতে কুমিল্লার দেবিদ্বার এলাকা থেকে এ মামলার আসামী ইয়াবা ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ২৪ জুন পুলিশ তাকে আদালতের মাধ্যমে তিন দিনের রিমান্ডে নেয়। গত ২৪ জুন বিকেলে গ্রেপ্তারকৃত পুলিশ সদস্য মাহফুজুর রহমান ফেনী সদর কোর্টের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ইয়াবা ব্যবসার সাথে নিজের সম্পৃক্ততা স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়। মাহফুজের গাড়ি চালক জাবেদ আলীও গত ২৬ জুন ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। পরদিন ২৭ জুন এএসএই মাহফুজুর রহমানের সহযোগী ইয়াবা ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিনও একই আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। পরবর্তীতে ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে ফেনীর জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক দেলোয়ার হোসেন মামলাটি ফেনী সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ প্রদান করে।