ঝিনাইদহে কমিউনিটি ট্রাফিক পুলিশের বেহাল দশা নুন আনতে পান্তা ফুরোয় ঝিনাইদহে কমিউনিটি ট্রাফিক পুলিশের
জাহিদুর রহমান তারিক,ঝিনাইদহঃ
ঝিনাইদহ শহরে ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে সকাল বিকাল দায়িত্ব পালনরত কমিউনিটি ট্রাফিক পুলিশ সদসরা চরম ভাবে আর্থিক কষ্টে রয়েছেন। মাসে যে বেতন দেওয়া হয়, তাতে তাদের নুন আনতে পান্তা ফুরানোর দশা। বর্তমান দুর্মুুল্যের এই বাজারে প্রায় সময় তাদের মানবেতর জীবন কাটাতে হয়। ঝিনাইদহ ট্রাফিক বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, ২০০৮ সালের দিকে শহরের যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি কমিউনিটি ট্রাফিক পুলিশ নিয়োগ করা হয়। প্রথম অবস্থায় শহরের বিভন্ন স্থানে দশ জনকে দায়িত্ব পালণ করতে দেখা গেলেও কম বেতনের কারণে ছয় জন চাকরী ছেড়ে চলে গেছে। এখন মিজানুর রহমান, ফতেহ আলী, নজরুল ইসলাম, পরেশ মিয়া ও বাকের আলী কমিউনিটি ট্রাফিক পুলিশ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। অথচ ট্রাফিক বিভাগের সব কাজে তাদের অংশ নিতে হয়। সুত্রে জানায়, চাকরীর শুরুতে তাদের বেতন ছিল পনেরশ টাকা। এরপর বৃদ্ধি করে ২২শ টাকায় উন্নীত করা হয়। বর্তমান তাদের বেতন ২৫শ টাকা। ২৫শ টাকায় শহরে বাসা ভাড়া করে পরিবার নিয়ে বসবাস করা তাদের কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। কমিউনিটি ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা জানান, তাদের অমানবিক বিষয়টি কেও একবারও ভেবেও দেখেন না। অল্প টাকার বেতনে না চললেও তারা চাকরী ছেড়ে এই বয়সে কোথায় যাবেন তাও ভেবে পান না। ঝিনাইদহ পৌরসভা থেকে যে বেতন পান তা মাসের প্রথম সপ্তাহেই ধার দেনা দিতে ফুরিয়ে যায় বলে তারা জানান। এ বিষয়ে তারা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষের কাছে বেতন বৃদ্ধির দাবী জানিয়েছেন।