৫.৩% খুচরা পর্যায়ে ফের বাড়ল বিদ্যুতের দাম,
খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে ৫.৩ শতাংশ, তবে পাইকারি পর্যায়ে বাড়ছে না-- ডিসেম্বর থেকে এ দাম কার্যকর হবে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে এ বিষয়ে ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।
তবে পাইকারিতে দাম বাড়ছে না—বিদ্যুতের এ বাড়তি মূল্যহার কার্যকর হবে আগামী মাস থেকেই অর্থাৎ জানুয়ারি মাস থেকেই বাড়তি বিল গুণতে হবে ভোক্তাদের।
একই সঙ্গে বিদ্যুতের ন্যূনতম মূল্যহার প্রত্যাহার করারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
এর ফলে, ৩০ লাখ লাইফ-লাইন গ্রাহকের বিদ্যুতের বিল আগের চেয়েও কমবে বলে দাবি কমিশনের।
আর প্রায় ৬০ লাখ বা ৩৮ শতাংশ লাইফ-লাইন গ্রাহকের বিদ্যুতের বিল অপরিবর্তিত থাকবে।
সর্বশেষ ২০১৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর বিদ্যুতের দাম গড়ে ২ দশমিক ৯৩ শতাংশ বাড়িয়েছিল সরকার। তাতে মাসে ৭৫ ইউনিট পর্যন্ত ব্যবহারকারীদের খরচ বাড়ে ২০ টাকা; ৬০০ ইউনিটের বেশি ব্যবহারে খরচ বাড়ে কমপক্ষে ৩০ টাকা।
চলতি বছর মার্চে বিভিন্ন খাতে গ্যা সের দাম ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানোর পর জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেছিলেন, বিদ্যুৎ খাতে গ্যাসের দাম বাড়ায় বিদ্যুতের দামও সমন্বয় করা প্রয়োজন।
এরপর এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন গত সেপ্টেম্বরে বিতরণ কোম্পানিগুলোর প্রস্তাব যাচাই-বাছাই করে শুনানির আয়োজন করে। সেখানে পাইকারিতে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম প্রায় ১৫ শতাংশ এবং গ্রাহক পর্যায়ে ৬ থেকে সাড়ে ১৪ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব আসে।
এর মধ্যে ডিপিডিসি গ্রাহক পর্যায়ে ৬.২৪ শতাংশ, ডেসকো ৬.৩৪ শতাংশ, ওজোপাডিকো ১০.৩৬ শতাংশ, আরইবি ১০.৭৫ শতাংশ এবং পিডিবি ১৪.৫ শতাংশ দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়।
বিইআরসির আইন অনুযায়ী গণশুনানি করার পর ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে কমিশনের সিদ্ধান্ত ঘোষণার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।