ধর্ষনের ঘটনায় জোড়পুকুরিয়া গ্রামের খোকন ও তার সহযোগি রাফিজুলের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল
এম এ লিংকন,মেহেরপুরঃ মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার জোড়পুকুরিয়া গ্রামের মৃত ময়নাল হকের ছেলে কামরুজ্জামান খোকন ও বাহাগুন্দা গ্রামের গোলামের ছেলে রফিকুল ইসলাম ওরফে রাফিজুল ইসলাম ওরফে লাল মিয়ার বিরুদ্ধে ধর্ষনের ঘটনায় মেহেরপুর আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল হয়েছে। গত ১৭ -১১-২০১৭ ইং তারিখে গাংনী থানার ওসি তদন্ত কাফরুজ্জামান মেহেরপুর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন বলে জানা যায়। অভিযোগ পত্রে প্রাথমিক ভাবে ধর্ষনের অভিযোগ পাওয়া যায় বলে জানা গেছে। অভিযোগ পত্রে ধর্ষনের আলামত পাওয়া গেছে। এদিকে অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে অভিযুক্ত কামরুজ্জামান খোকন নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে তার নিজ গ্রাম জোড়পুকুরিয়ার কলেজ পড়–য়া একটি মেয়েকে চাকুরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে চলতি বছরের জানুয়ারি মানের ১ তারিখে গাংনীর এস এম প্লাজা থেকে এজাহারে বর্ণিত ২ নং আসামী রফিকুল ইসলাম ওরফে রাফিজুল ওরফে লাল মিয়ার সহযোগিতায় মটর সাইকেলে তুলে নিয়ে যায় এবং গাংনী হাসপাতাল বাজারের পিছনে জনৈক ডালিয়ার বাসা ভাড়া করে তাকে সেখানে আটকে রেখে অভিযুক্ত এক নং আসামী কামরুজ্জামান কলেজ ছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষন করে। এবং এ কথা গোপন রাখতে বলে অন্যথায় ধর্ষনরে ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেবে বলে হুমকি দিতে থাকে। পরে ভৃক্তোভুগি কলেজ ছাত্রী কান্নাকাটি করলে কমারুজ্জামান কৌশলে জোড়পুকুরিয়া গ্রামের মেম্বর সাহাবুদ্দিনের বাড়িতে পৌছে দেয়। মেম্বর সাহাবুদ্দিন এ মামলার স্বাক্ষি বলে জানা যায়। পরে সাহাবুদ্দিন মেম্বর কলেজ ছাত্রীকে তার বাবার বাড়িতে পৌছে দেয়।
মামলার অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, মোঃ কামরুজ্জামানের এর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী/০৩) এর ৯ (১)/৭ ধারায় এবং রাফিজুলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী/০৩) এর ৯(১)/৭ ও ৩০ ধারায় আদালতে অভিযোগ দাখিল করা হয়।