হাতীবান্ধার সইদুলের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি অনিশ্চয়তার পথে
লালমনিরহাট প্রতিনিধি :
বাবার সাথে অন্যর বাড়িতে ক্ষেত-খামারে দিন মজুরের কাজ করেন সইদুল ইসলাম। কাজের পাশাপাশি লেখাপড়া করে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন মেধাবী ছাত্র সইদুল ইসলাম। সে মেধাবী হলেও মেধা বিকাশে তার বাধা হয়ে দাড়িঁয়েছে দারিদ্রতা। টাকার অভাবে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া তার অনিশ্চয়তার পথে। সইদুল ইসলাম লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার সিঙ্গিমারী ইউনিয়নের মধ্য ধুবনী গ্রামের দিন মজুর রহিম উদ্দিনের পুত্র।
সইদুল ইসলাম জানান, সে দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সি ও জি ইউনিট থেকে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে মেধা তালিকায় উত্তীর্ণ হন। তার মেধা সি ইউনিটে তালিকা-১০৭ ও জি ইউনিটে-১৪৩ স্থান করে পেয়েছেন ভর্তি হওয়ার সুযোগ। সে এসএসসি জিপিএ ৪.৬৭ ও এইচএসসিতেও জিপিএ ৪.৫০ পেয়েছে। লেখাপড়ার পাশাপাশি বাবার সাথে দিন মজুরের কাজ করে লেখাপড়া চালিয়ে গেলেও উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে সে সুযোগ না থাকায় সইদুল ইসলাম পড়েছে বিপাকে। যে কারণে মেধাবী শিক্ষার্থী সইদুলের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। সে লেখাপড়ার পাশাপাশি হাতীবান্ধার বিভিন্ন এলাকায় বাবার সাথে দিন মজুরের কাজ করেন। ৩ ভাই বোনের মধ্যে সইদুল ইসলাম দ্বিতীয়। তার পিতা রহিম উদ্দিনের তিস্তা নদীর ভাঙ্গনে বসত বাড়ি হারিয়ে এখন রয়েছে অন্যের জমিতে মাথা গোঁছার ঠাঁই। দিনমজুরের কাজ করে রহিম উদ্দিনের চলে ৫ সদস্যের সংসার।
মেধাবী ছাত্র সইদুল ইসলাম আরো জানান, সে লেখাপড়া করে বিসিএস ক্যাডার হতে চায়। কিন্তু তার সেই স্বপ্ন পুরণে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে দ্ররিদ্রতা। সইদুল ইসলাম তার লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার জন্য সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা চেয়েছেন।