জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে নওগাঁ-২ আসনে মনোনীত প্রার্থী হতে আ"লীগ-বিএনপি-জাপা তোড়জোড়।
জয়পুরহাট আক্কেলপুর প্রতিনিধিঃ নিরেন দাস:
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আরো এক বছর সময় থাকলেও ইতিমধ্যে নওগাঁ জেলার ধামইরহাট পত্নীতলা দুই উপজেলা নিয়ে গঠিত নওগাঁ-২ আসনে আসন্ন একাদশ জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে বর্তমান ক্ষমতাশীল দল আওয়ামীলীগ ও রাজপথ থেকে বঞ্চিত ঘরে বসে থাকা রাজনৈতিক দল বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হতে তোড়জোড় ও প্রচারণা শুরু করেছে বেশ কয়েক আশাবাদী মনোনয়ন প্রত্যাশী নেতারা।
চ্যানেল ফোর টিভি বিশেষ এক জরিপে জানতে পারে
এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য বর্তমান সংসদ সদস্য, জাতীয় সংসদের হুইপ শহীদুজ্জামান সরকার বাবলু। কেননা ১৯৯১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে শহীদুজ্জামান সরকার প্রথমবার এ আসনে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
এ আসনে ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী শামসুজ্জোহা খানের কাছে পরাজিত হলেও নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি দ্বিতীয়বার নির্বাচিত হন। এরপর ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে তিনি জাতীয় সংসদের হুইপ নির্বাচিত হয়েছেন।
অপরদিকে এই আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী রয়েছেন তিনজন। তারা হলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির কমিটির কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সাংসদ সামসুজ্জোহা খান জোহা, নওগাঁ জেলা বিএনপির সহসভাপতি খাজা নাজিবুল্লাহ চৌধুরী, নওগাঁ জেলা বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম লিটন।
নওগাঁ জেলা বিএনপির সহসভাপতি খাজা নাজিবুল্লাহ চৌধুরী অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে মনোনয়ন চেয়ে আসছেন। এবারও মনোনয়ন পাওয়ার আশায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। গনসংযোগ, দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ,কর্মিসভাসহ পাশাপাশি হাইকমান্ডের সাথে লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন। নওগাঁ জেলা বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম লিটনও এ আসন থেকে মনোনয়ন চাইবেন বলে তার সংশ্লিষ্টরা জানান।
এদিকে, এ আসনে জাতীয় পার্টি থেকে রয়েছেন দুইজন মনোনয়ন প্রত্যাশী এরা হলেন; নওগাঁ জেলা কমিটি সহসভাপতি, বিএম হুমায়ন কবির চৌধুরী ও জেলা কমিটির সদস্য অধ্যাপক আবিদা আক্তার।
নওগাঁ জেলা কমিটি সহসভাপতি বিএম হুমায়ন কবির চৌধুরী ইতোপুর্বে জাতীয় পার্টি থেকে এ আসনে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন। জাতীয় পার্টি (জাপা) ও জেলা কমিটির সদস্য অধ্যাপক আবিদা আক্তারও একাদশ জাতীয় নির্বাচনে এ আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী বলে জানা গেছে।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে এলাকার সাধারণ ভোটাররা জানান, তারা নতুন নেতৃত্ব প্রত্যাশী। তরুন ও নতুন ভোটাররা জানান, বর্তমান যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে তথ্য ও প্রযুক্তি নির্ভর সেবা পেতে তারা বিশ্বাসী। যারা দুর্নীতি, অনিয়ম, মাদক ও বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে আগামী দিনের নেতৃত্ব দিবেন তারা তাদেরকেই ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন।
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধামইরহাট-পত্নীতলা আসনটি পুনরারুদ্ধারে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয় পক্ষ মরিয়া হয়ে উঠেছে।
কেননা নওগাঁ জেলার ৬ টি আসনের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ আসন গুলোর অন্যতম সীমান্তবর্তী বরেন্দ্র অধ্যুষিত আসনই ধামইরহাট-পত্নীতলা উপজেলা নিয়ে গঠিত নওগাঁ-২ আসনটি। এই আসনটি জাতীয় সংসদের ৪৭ নম্বর নির্বাচনী এলাকা হিসেবে পরিচিত। যে আসনে ভোটার সংখ্যা তিন লাখ ১৭ হাজার ৭২৬ জন, এর মধ্যে পত্নীতলা উপজেলায় এক লাখ ৭৭ হাজার ২০৫ জন আর ধামইরহাট উপজেলায় এক লাখ ৪০ হাজার ৫২১ জন ভোটার রয়েছেন। আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে বিকল্প ধারা ও বাসদ থেকে একক প্রার্থী থাকলেও আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাপার একাধিক প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে যা স্থানীয় ও দলীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, এরমধ্যে বিকল্প ধারা থেকে দলের যুগ্ম-মহাসচিব আবদুুর রউফ মান্নান এবং বাসদ থেকে ধামইরহাট উপজেলা বাসদের আহ্বায়ক, দেব লাল টুডু একাদশ জাতীয় নির্বাচনে একক প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন বলেও জানা গিয়েছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থীর নাম শোনা গেলেও এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী পাঁচজন প্রার্থীর নাম প্রকাশে এসেছে। তারা হলেন, (১) বর্তমান সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকার,বাবলু.(এমপি) (২) কেন্দ্রীয় উপকমিটির সহসম্পাদক প্রকৌশলী ড. আখতারুল আলম, (৩) সাবেক সচিব কাজিমদার ওয়ালিউল ইসলাম,(৪) নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক পত্নীতলা থানা কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজিপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল হক, (৫) মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মাহমুদ রেজা মেহেদী।
এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য বর্তমান সংসদ সদস্য, জাতীয় সংসদের হুইপ শহীদুজ্জামান সরকার বাবলু। কেননা ১৯৯১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে শহীদুজ্জামান সরকার প্রথমবার এ আসনে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
এ আসনে ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী শামসুজ্জোহা খানের কাছে পরাজিত হলেও নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি দ্বিতীয়বার নির্বাচিত হন। এরপর ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে তিনি জাতীয় সংসদের হুইপ নির্বাচিত হয়েছেন।
যাহার জনপ্রিয়তা সকলের শীর্ষে বলেই তিনি আবারো একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী এবং তিনি বলেন দল মনোনয়ন দিলে আগামীতে আবারো আসনটিতে তিনি আবারও বিপুল ভোটে হবেন।
এদিকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সহসম্পাদক প্রকৌশলী ড. আখতারুল আলম বলেন, সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মনোনয়ন প্রত্যাশী হয়ে ধামইরহাট-পত্নীতলা এলাকাবাসীর পাশে থেকে কাজ করে অবিরাম কাজ করে যাচ্ছি। তিনি জানান বিগত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আমি মনোনয়ন চেয়েছিলাম এবারও মনোনয়ন পাওয়ার আশায় নিরলসভাবে এলাকায় কাজ করে যাচ্ছি। তিনি আরো জানান দল মনোনয়ন দিলে এ আসনে তিনি নিশ্চিত বিজয়ী হবেন।
এ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা সাবেক সচিব কাজিমদার ওয়ালিউল ইসলাম ও নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক পত্নীতলা থানা কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজিপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল হক একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাইবেন বলে জানা গেছে।
এদিকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সহসম্পাদক প্রকৌশলী ড. আখতারুল আলম বলেন, সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মনোনয়ন প্রত্যাশী হয়ে ধামইরহাট-পত্নীতলা এলাকাবাসীর পাশে থেকে কাজ করে অবিরাম কাজ করে যাচ্ছি। তিনি জানান বিগত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আমি মনোনয়ন চেয়েছিলাম এবারও মনোনয়ন পাওয়ার আশায় নিরলসভাবে এলাকায় কাজ করে যাচ্ছি। তিনি আরো জানান দল মনোনয়ন দিলে এ আসনে তিনি নিশ্চিত বিজয়ী হবেন।
এ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা সাবেক সচিব কাজিমদার ওয়ালিউল ইসলাম ও নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক পত্নীতলা থানা কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজিপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল হক একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাইবেন বলে জানা গেছে।
এছাড়াও রয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মাহমুদ রেজা মেহেদী। দলীয় মনোনয়ন পেতে কাজ করছেন তিনিও মনোনয়ন চাইবেন। বয়সে তরুন এ মনোনয়ন প্রত্যাশী বলেন, এর আগে তিনি এ আসনে মনোনয়ন চেয়েছিলেন। তিনি এরই মধ্যে এলাকায় ফেস্টুন-ব্যানার টাঙিয়েছেন। তার দাবি এলাকার যুব সম্প্রদায় তার সাথেই থাকবে। তিনি ব্যবসার কারণে ঢাকায় থাকলেও নিয়মিত এলাকায় আসেন। বন্যার্তদের মাঝে তিনি এবার তার একটি সংস্থার সহযোগিতায় ত্রাণ বিতরণ করেছেন। মাহমুদ রেজা আরো বলেন, আমি মনোনয়ন পেলে সবাই আমার সাথে কাজ করবেন। আমি এলাকায় থাকলে মাধ্যমিক স্কুলগুলোতে পর্যায়ক্রমে ইংরেজি ক্লাস নেই শিক্ষার্থীদের। এলাকায় পর্যটন নিয়েও ভাবনা রয়েছে তার। তিনি সর্বশেষে বলেন আগামী নির্বাচনে দল যদি আসনটি ধরে রাখতে চায় তবে আমাকে মনোনয়ন দিলে সেটা সম্ভব হবে।
অপরদিকে এই আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী রয়েছেন তিনজন। তারা হলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির কমিটির কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সাংসদ সামসুজ্জোহা খান জোহা, নওগাঁ জেলা বিএনপির সহসভাপতি খাজা নাজিবুল্লাহ চৌধুরী, নওগাঁ জেলা বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম লিটন।
নওগাঁ জেলা বিএনপির সহসভাপতি খাজা নাজিবুল্লাহ চৌধুরী অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে মনোনয়ন চেয়ে আসছেন। এবারও মনোনয়ন পাওয়ার আশায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। গনসংযোগ, দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ,কর্মিসভাসহ পাশাপাশি হাইকমান্ডের সাথে লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন। নওগাঁ জেলা বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম লিটনও এ আসন থেকে মনোনয়ন চাইবেন বলে তার সংশ্লিষ্টরা জানান।
এদিকে, এ আসনে জাতীয় পার্টি থেকে রয়েছেন দুইজন মনোনয়ন প্রত্যাশী এরা হলেন; নওগাঁ জেলা কমিটি সহসভাপতি, বিএম হুমায়ন কবির চৌধুরী ও জেলা কমিটির সদস্য অধ্যাপক আবিদা আক্তার।
নওগাঁ জেলা কমিটি সহসভাপতি বিএম হুমায়ন কবির চৌধুরী ইতোপুর্বে জাতীয় পার্টি থেকে এ আসনে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন। জাতীয় পার্টি (জাপা) ও জেলা কমিটির সদস্য অধ্যাপক আবিদা আক্তারও একাদশ জাতীয় নির্বাচনে এ আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী বলে জানা গেছে।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে এলাকার সাধারণ ভোটাররা জানান, তারা নতুন নেতৃত্ব প্রত্যাশী। তরুন ও নতুন ভোটাররা জানান, বর্তমান যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে তথ্য ও প্রযুক্তি নির্ভর সেবা পেতে তারা বিশ্বাসী। যারা দুর্নীতি, অনিয়ম, মাদক ও বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে আগামী দিনের নেতৃত্ব দিবেন তারা তাদেরকেই ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন।