যে কারনে স্ত্রী রিফা আক্তারের মরদেহ দেখা হলো না আনোয়ারের
সদরুল অাইন :
স্ত্রী রিফা আক্তারের মারা যাওয়ার খবর শুনে মরদেহ দেখার জন্য ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে ছুটে আসেন স্বামী আনোয়ার হোসেন। কিন্তু বাড়ির পাশে আসার পর স্ত্রীর মরদেহ দেখার আগেই স্বামী জ্ঞান হারিয়ে মারা যান। মঙ্গলবার ভোরে কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার এলাহাবাদ ইউনিয়নের বামনিশাইর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আনোয়ার হোসেন (২৮) বামনিশাইর গ্রামের মোখলেছুর রহমানের ছেলে ও রিফা আক্তার (২৪) একই গ্রামের হাবিবুর রহমানের মেয়ে। এক বছর আগে তাদের বিয়ে হয়, তবে এ দম্পতির সন্তান নেই।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গৃহবধূ রিফা আক্তার বাড়ির পুকুর পাড়ে বসে মোবাইল ফোনে ঢাকায় চাকরিরত তার স্বামী আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে কথা বলছিলেন। একপর্যায়ে মৃগী রোগে আক্রান্ত হয়ে রিফা আক্তার পুকুরের পানিতে ডুবে যান। বাড়ির লোকজন পুকুর থেকে উদ্ধার করে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রিফা আক্তারকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে স্ত্রীর এ মৃত্যুর খবর শুনে স্বামী আনোয়ার হোসেন রাতে ঢাকার রামপুরা থেকে দেবিদ্বারে বামনিশাইরের নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। গভীর রাতে তিনি বাড়ির কাছাকাছি এসে পৌঁছান। এ সময় আনোয়ার তার স্ত্রীর নাম ধরে চিৎকার করতে করতে একপর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।
পরে তাকে অজ্ঞান অবস্থায় দেবিদ্বার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে তিনি মারা যান। স্ত্রী ও স্বামীর এ মৃত্যুর খবরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
আনোয়ারের বড় বোন শিউলী বেগম জানান, তার ভাই ঢাকার রামপুরার একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। স্ত্রীর মৃত্যুর খবর শুনে সে ঢাকা থেকে রওয়ানা করে বাড়ির পাশে আসার পর জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে স্থানীয় লোকজন হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান।
এ বিষয়ে দেবিদ্বার থানার এসআই সাইদুর রহমান জানান, স্বামী-স্ত্রীর মরদেহের ময়নাতদন্ত করতে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।