আশুলিয়ায় ৭শত টাকার জন্য প্রাণ কেড়ে নিলো রিক্সাসা চালকের
সাভার: আমাকে বাঁচা মা। গ্যারেজ মালিক নওসেদ ও শহিদুল আমাকে মেরে ফেললো। চিৎকার করে মোবাইল ফোনে মেয়ে কাছে বাবার বেঁচে থাকার আকুল আকুতি।পাষন্ডেরদের মারধরের এক সময় এক সময় মোবাইল পড়ে যায়। কিন্তু মেয়ে শুনছে বাবাকে মারধরে ভয়ংকর সেই শব্দ। এপাশ থেকে মেয়েসহ পরিবারের আহাজরি আর করুন কান্না।কিন্তু সে খবর পৌছায়নি বাবার কানে। উবিগ্ন উৎকন্ঠা নিয়ে বাবার খোঁজে।রাতের আধাঁরে অসহায় বাবাকে বাঁচাতে দিক বেদিক ছুটাছুটি। অনেক কষ্ট করে বাবা খোঁজ পেয়েছেন। তবে ততক্ষনে প্রাণ করে নেয় পাষন্ড গ্যারেজ মালিকরা। ঘটনাটি ঘটে শনিবার দিবাগত রাতে আশুলিয়ায় জামগড়া এলাকায়।এভাবেই বাবা বাচাঁনোর করুন ঘটনাটি তুলে ধরেন নিহত রিক্সাসা শাজাহানের মেয়ে সোনিয়া আক্তার। বগুড়ার শারীয়াকান্দির নিহত শাজাহান দুই সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে আশুলিযার ভাদাইলে রিক্সাসা চালিয়ে জীবন যাপন করে আসছিলো।
সোনিয়া আক্তার আরও জানান, শনিবার রাত ৯টার দিকে রিক্সাসার কিস্তি মাত্র ৭০০ টাকা দিকে না পারায় গ্যারেজ মালিক নওসেদ ও ওষুধ দোকান শহিদুলসহ কয়েকজন রিক্সাসা চালক শাজাহানকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে যায়। পরে আনুমান সাড়ে ১০টার দিকে পিটিয়ে হত্যা করে। বাবার নিথর দেহ উদ্ধার করে স্থানয়ি গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিসক মৃত ঘোষনা করেন।
পরিবারের একমাত্র অবলম্বন স্বামীকে হারিয়ে দিশেহারা স্ত্রী রিক্তা আক্তার জানান, আমার ১৪ বছরে মেয়ে ও ৭ বছরের ছেলেকে নিয়ে আমি কিভাবে বেঁচে থাকবো। পাষন্ড মানুষরা র্নিদয় ভাবে আমার স্বামী পিটিয়ে হত্যা করলো, অনেক কাকুতি মিনুতি করেও বাচঁতে পারলো আমার অসহায় স্বামী। আমি গ্যারেজ মালিক নওশেদ ও ওষূধ দোকাদার শাহিদুল সহ অপরাধীদের সুষ্ট বিচার চাই।
নিহতের ভাই বকুল হোসেন বলেন, ভাইয়ের হত্যার খবর শুনে ছুটে আসি।নিহত মানুষটি রিক্সাসা চালিয়ে কষ্ট করে পরিবারের ছেলে মেয়েকে মানুষ করার চেষ্টা করছিলো। আর সেই মানুষটাকে পাষন্ড জানোয়াররা বাঁচতে দিলো না। এই হত্যাকান্ডের সুষ্ট বিচার দাবী করছি।
অভিযুক্ত গ্যারেজ মালিক ও ওষুধ দোকানদার শহিদুল ইসলামকে এলাকায় গিয়ে খুঁজে পাওয়া যায়নি। ঘটনার পর থেকে তারা পালাতক রয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা। ঘটস্থলে গিয়ে দেখা যায়, শহিদুলের গ্যারেজ ও শহিদুলে ওষুধ দোকান বন্ধ। তাদের বাড়িতে গিয়ে তাদের পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার এস আই ও মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে নিহতের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে রিক্সাসা চালক শাজাহানকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তবে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা। পাশাপাশি এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।