মহেশপুর দত্তনগর ফাঁড়ি পুলিশের বিরুদ্ধে অস্ত্র ঠেকিয়ে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ১৬ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ
মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জল, ঝিনাইদহ :
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার দত্তনগর ফাঁড়ি পুলিশের বিরুদ্ধে অস্ত্র ঠেকিয়ে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ১৬ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এলাকাবাসী,ভুক্তভোগী পরিবার ও পুলিশের একটি সূত্র থেকে জানা গেছে, ২৬ শে নভেম্বর সকাল ১০টার সময় চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা তাহাজ্জেল আলীর পুত্র ওয়াজির আলী গাড়ী কেনার উদ্দেশ্যে জীবননগর আসার সময় সন্তোষপুর নামক স্থানে আসলে দত্তনগর ফাঁড়ির এ.এস.আই নুরুন্নবী এবং কনস্টেবল সোহেল রানা ও হোসেন আলী তাকে বাস থেকে নামিয়ে ফাঁড়িতে নিয়ে কোয়ার্টারে আটকে রেখে অস্ত্র ঠেকিয়ে তার কাছে থাকা নগদ ১৬ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়। ওয়াজির আলী কান্নাকাটি করলে তাকে ১লাখ টাকা ফেরত দিয়ে ক্যাম্প থেকে বের করে দেওয়া হয়। পরে লোকজন নিয়ে অনেক তদবির করার পর ৮লাখ টাকা খালিশপুর রুপালী ব্যাংকের মাধ্যমে ফেরত দেয়। ঐদিন বিকাল ৪টার সময় ওয়াজির আলী সহ জীবননগর পৌরসভার কমিশনার ও স্বরুপপুর ইউনিয়নের ২জন মেম্বার সহ ৮/১০ জন বাকী টাকার জন্য দেন-দরবার করে। এ সময় দত্তনগর ফাঁড়ির ইনচার্জ এস.আই মাহাফুজ টেলিফোনে জনপ্রতিনিধিদের জানায়, তিনি সাতক্ষীরায় আছেন ফিরে এসে বাকী টাকার ব্যবস্থা করবেন। রাত্রেই ঘটনাটি ফাঁস হয়ে গেলে ঝিনাইদহ পুলিশ সুপারের নির্দেশে মহেশপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আহম্মেদ কবির ২৭ নভেম্বর সকালে প্রাথমিক তদন্ত করে এর সত্যতা পেলে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে এই বিষয়টি জানিয়েছেন।
দত্তনগর ফাঁড়ির ইনাচর্জ এস.আই মাহাফুজের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি বর্তমানে সাতক্ষীরায় আদালতে স্বাক্ষী দিতে এসেছি পরে কথা বলব।
অভিযুক্ত এ.এস.আই নুরুন্নবীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ফোনে বলেন, ঘটনাটি আমি করিনি আমাদের ২ জন কনস্টেবল সোহেল রানা ও হোসেন আলী ঘটনাটি ঘটিয়েছে।
স্বরুপপুর ইউনিয়নের মেম্বর আব্দুল হামিদ ও রবিউল ইসলাম জানায়, সন্ধ্যার সময় উক্ত ওয়াজির আলী ও জীবননগর থেকে আগত লোকজনের সাথে তারা ফাঁড়িতে যায় এবং বাকী টাকা ফেরত দেওয়ার আলোচনা হয়। তারা জানায় ঐ ব্যক্তির কাছ থেকে পুলিশ ১৬লাখ টাকা নিয়েছিল এবং ৯লাখ টাকা ফেরত দিয়েছে।
রুপালী ব্যাংক খলিশপুর শাখার ম্যানেজার ইসমাইল হোসেন সাথে কথা বললে তিনি বললে তিনি ৮লাখ টাকা টিটি হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এ ব্যাপারে মহেশপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আহম্মেদ কবির জানান, আমি পুলিশ সুপারের নির্দেশে ২৭ নভেম্বর সকালে দত্তনগর ফাঁড়ি পরিদর্শন করি এবং ঘটনার সত্যতা পাই। তিনি আরো জানান, উক্ত ব্যবসায়ীর সাথে আমার কথা হয়েছে, সে ১৬ লাখ টাকার কথা স্বীকার করেছে এবং ৯লাখ টাকা ফেরত পেয়েছে। বিষয়টি আমি লিখিতভাবে উর্ধ্বতন কর্র্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। বাকী ব্যবস্থা কর্র্তৃপক্ষ নিবেন।
এলকাবাসী দোষী পুলিশদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন।