পোপ ফ্রান্সিস মিয়ানমারে
রোহিঙ্গাদের ওপর জাতিগত নিধনের ঘটনায় সারা বিশ্বে সমালোচনার মধ্যে ৩ দিনের সফরে মিয়ানমারে পৌঁছেছেন ক্যাথলিক ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস। স্থানীয় সময় সোমবার দুপুরে বহনকারী বিমানটি ইয়াঙ্গুনে অবতরণ করে তিনি। বিমানবন্দরে শিশুরা পোপকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
সেখান থেকে শহরের কেন্দ্রস্থলে সেন্ট মেরিস ক্যাথিড্রালে যান। পথে হাজারো মানুষ রাস্তার দুই ধারে দাঁড়িয়ে তাকে স্বাগত জানান। পোপ গাড়ি থেকে তাদের উদ্দেশে হাত নাড়ান ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এ সফরে পোপ দেশটির নেত্রী অং সান সু চি এবং সেনাবাহিনী প্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হলাইং এর সঙ্গে দেখা করবেন। প্রায় ৭ লাখ ক্যাথলিক খ্রিস্টান অধ্যুষিত মিয়ানমারে বুধবার এক উন্মুক্ত সমাবেশে উপস্থিত থাকবেন পোপ।
এদিকে, মিয়ানমার সফরের সময় কোনো বৈঠকে কিংবা ভাষণে রোহিঙ্গা শব্দটি ব্যবহার না করতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে পোপকে।এই সফর শেষে ৩০ নভেম্বর বাংলাদেশ সফরে আসছেন পোপ। ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশে অবস্থান করবেন।
এর আগে রোহিঙ্গা সমস্যা, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা, রানা প্লাজার মত বেশ কিছু বিষয়ে কথা বলবেন পোপ ফ্রান্সিস- এমনটাই জানিয়েছেন কার্ডিনাল প্যাট্রিক ডি রোজারিও।
তিনি বলেন, সময় না থাকায় পোপ ফ্রান্সিসকে রোহিঙ্গাদের অবস্থা দেখতে নেয়া যাচ্ছে না। শুধু সুচি নয় মিয়ানমারের সেনাপ্রধানসহ বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তির সঙ্গে পোপের সাক্ষাৎ হতে পারে। তার এই সফর সম্প্রীতি ও শান্তির নির্দশন হয়ে থাকবে।
পোপ ফ্রান্সিসের বাংলাদেশ আগমন উপলক্ষে সোমবার কাকরাইল গির্জায় সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে কাথলিক বিশপ সম্মিলনী। এসময় পোপের সফরের বিষয়ে কথা বলেন সাতটি ধর্মপ্রদেশের বিশপরা।
স্বাগত বক্তব্যে রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের প্রধান বিশপ জের্ভাস রোজারিও বলেন, এই সফর খ্রিষ্টীয় সম্প্রদায়সহ দেশের সব মানুষের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, নির্যাতিত ও নিপীড়িত প্রান্তিক মানুষের জন্য শান্তির বার্তা নিয়ে আসছেন তিনি।
কার্ডিনাল ও আর্চ বিশ প প্যাট্রিক ডি রোজারিও বলেন, এই সফরে পোপ যীশু খ্রিষ্টের প্রতিনিধি হয়ে আসছেন। তিনি সব ধর্মের মানুষের জন্য চিন্তা করেন ও শান্তির কামনা করেন। তাই তিনি নিপীড়িত-নির্যাতিত মানুষের পক্ষে কথা বলেন।
বিশপ বলেন, রোহিঙ্গাদের একটি প্রতিনিধি দলকে ঢাকায় নিয়ে এসে পোপের সঙ্গে দেখা করানোর চেষ্টা চলছে। তবে তা এখনো নিশ্চিত হয়নি। আর সময় থাকলে অবশ্যই কক্সবাজারে রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবির পরিদর্শনে যেতেন পোপ।
পোপের সফরের কারনে ভাটিকানের সঙ্গে বাংলাদেশের ৪৬ বছরের সম্পর্ক আরো দৃঢ় হবে বলেও জানান প্যাট্রিক ডি