‘ঘূর্ণি জাদু’র জয়ে শেষ চারে ঢাকা
চট্টগ্রামে কুমিল্লার কাছে হেরে শেষ চারের পথ কঠিন হয়ে গিয়েছিল ঢাকা ডায়নামাইটসের। শনিবার রাজশাহী কিংসের বিপক্ষে দুর্দান্ত এক জয়ে পথের কঠিন সেই দেয়ালটা ভেঙে দিয়েছে সাকিবের দল। মুশফিকদের ৯৯ রানে হারিয়ে শেষ চারও নিশ্চিত করেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
ব্যাট-বলে দুর্দান্ত নৈপুণ্য দেখিয়েছেন সাকিবও। একটি করে ছয়-চারে ৬ বলে ১৩ রানে অপরাজিত থাকার পাশাপাশি বলে দেখিয়েছেন ঘূর্ণি জাদু। ঢাকার অধিনায়ক ৪ ওভার বল করে মাত্র ৮ রান খরচায় ৪ উইকেট পকেটে পুড়েছেন। আছে একটি কোন রান না দেয়া ওভারও।
রাজশাহীর ক্যাচ হাতছাড়ার মহড়া, বাজে ব্যাটিংয়ে বিপরীতে ঢাকা আগাগোড়াই ছিল দুর্দান্ত। শুরুতে নারিন ঝড়ে ২০৫ রান তোলে ৫ উইকেট হারিয়ে। বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ধুঁকতে ধুঁকতে ৯ বল হাতে রেখেই ১০৬ রানে গুটিয়ে যায় রাজশাহী।
দলটির হয়ে দুইটি করে ছক্কা-চারে ১৭ বলে সর্বোচ্চ ২৮ রান করেন সামিট প্যাটেল। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৯ রান মুমিনুল হকের।
ভাল বোলিং করেও এদিন শেষ ওভারে আক্ষেপে পুড়েছেন সাকিব। প্রথম তিন ওভারে চার উইকেট তুলে বিপিএলের পঞ্চম আসরে দ্বিতীয়বার পাঁচ উইকেট শিকারের আশা জাগিয়েছিলেন। বাঁহাতি এই স্পিনারকে শেষ ওভারে সফল হতে দেননি মোস্তাফিজুর রহমান। বল ব্লক আর ডিফেন্স করে উইকেট আগলে রাখেন ফিজ। দলের রান তিন অংক পেরোয় মোস্তাফিজের ব্যাটেই। একটি ছক্কার সাহায্যে করেন ৭ রান।
বিপিএলের পঞ্চম আসরে আগের সব ম্যাচে টসজয়ী দল করেছে বোলিং। শনিবার ব্যতিক্রম ছিলেন অধিনায়ক সাকিব। স্রোতের বিপরীতে হেঁটে সফলই হলেন। ইনিংসের শুরু থেকে সহজ সব ক্যাচ মিস করে ঢাকাকে রানের পাহাড় গড়তে সাহায্য করেছে রাজশাহীর ফিল্ডাররাও।
বাজে ফিল্ডিংয়ের সুযোগে ঢাকার দুই ওপেনার জো ড্যানলি ও সুনিল নারিন বিশাল জুটি গড়েন। ১৩.১ ওভার খেলার পর দলীয় ১২৯ রানে নারিন সাজঘরে ফিরলে ভাঙে জুটি। ৪ চার ও ৬ ছয়ে ৩৪ বলে ৬৯ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন নারিন।
আরেক ওপেনার জো ড্যানলি করেন ৫৪ বলে ৫৩ রান। ২০০ পার করতে শেষদিকে পোলার্ডের ঝড় বেশ কাজে দেয়। মাত্র ১৩ বলে এক চার ও ৪ ছক্কার সাহায্যে ৩৩ রান করেন পোলার্ড।
রাজশাহী পেসার কাজী অনিক দুটি উইকেট নেন। মোহাম্মদ সামি, মেহেদী হাসান মিরাজ ও সামিত প্যাটেল একটি করে উইকেট নেন। মোস্তাফিজ ৪ ওভার বল করে উইকেট পাননি, রান দিয়েছেন ২২।