জয়পুরহাট-২ আসনে বড় দুই দলেরই প্রার্থীতার লড়াই মাঠে নেই বিএনপি
জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃ নিরেন দাস।
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন-২০১৮ কে সামনে রেখে সারা দেশের মতো, আক্কেলপুর, কালাই, ক্ষেতলাল তিনটি উপজেলা নিয়ে গঠিত জয়পুরহাট-২ আসন।
যে আসনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন কে সামনে রেখে দেশের বৃহত্তর বড় দুই দলের মধ্যে মাঠ পর্যায়ে আওয়ামীলীগের প্রচারণা থাকলেও বিএনপির একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশীদের নাম প্রকাশে আসলেও এখনো মাঠে নেই বিএনপির কোন প্রার্থীরাই যাতে ক্ষিপ্ত তৃনমূল বিএনপি।
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের প্রার্থীর নাম এখনো প্রকাশ না করলেও বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় সম্ভাবিত সংসদ নির্বাচনের ৩০০ শ আসনের প্রার্থীদের মতো জয়পুরহাট-২ আসনেও দল মনোনীত প্রার্থী হিসেবে তালিকায় বর্তমান জয়পুরহাট-২ আসনের সাংসদ,কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন.এমপি এর নাম দেখা গিয়েছে যিনি ইতিপূর্বে আওয়ামীলীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ মতে তিনি তাহার নির্বাচনী এলাকায় এসে তাহার উন্নয়নের কথা তুলে ধরে মাঠ পর্যায়ের দূরসময়ের তৃনমূলদের সাথে সরাসরি কথা কথা বলে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচন প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
আবার একই আসন থেকে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী আশাবাদী হিসেবে মাঠে নেমে তৃনমূল নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ সহ বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন জয়পুরহাট জেলা আওয়ামীলীগ এর সাধারন সম্পাদক, এসএম সোলায়মান আলী।
যাহার নাম কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ জরিপে সারা দেশের ১০০ জন বিকল্প প্রার্থী মধ্যে জয়পুরহাট-২ আসনের তালিকায় বিকল্প প্রার্থী হিসেবে এসএম সোলায়মান আলীর নাম প্রকাশিত করা হয় ২৯ শে নভেম্বর
(দৈনিক মানবকন্ঠ) পত্রিকায়।
যাহার ফলে জয়পুরহাট-২ আসনের আওয়ামীলীগের তৃনমূল নেতাকর্মীরা বিভ্রান্তিতে পরেছে যা ভিতরে ভিতরে গ্রুপিং সৃষ্টির রুপ নিচ্ছে চলেছে এই গ্রুপিং রাজনীতি সৃষ্টিতে করাতে অনেক সুবিধাবাদী স্থানীয় উচ্চ পদের নেতারা নিরপেক্ষতার রুপ ধরে ভিতরে ভিতরে দুই প্রার্থীর সাথেই গোপনে আতাত করে চলছে বলে গোপন সূত্রে জানা যায়।
বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে জয়পুরহাট-২ আসনের আক্কেলপুর, কালাই, ক্ষেতলাল এর বেশ কয়েকজন নাম প্রকাশে অইচ্ছুক শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা বলেন যে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতার নয় বছর পেরিয়ে দশ বছরে পদার্পণ করবে কিন্তু ভালো করে জরিপ করে দেখা গেলে দেখা যাবে যারা প্রকৃত দূরসময়ের আওয়ামীলীগের কান্ডারি তাদের এই নয় বছরে কোন নেতাকর্মীরাই মূল্যায়িত হয়নি যারা মূল্যায়তি যারা হয়েছে কারা যারা সেই দূর সময়ের নৌকা ডুবাতে নৌকার বিরুদ্ধে যারা নির্বাচন করেছিল আজ তারাই মূল্যায়িত হয়েছে মূল্যায়িত হয়েছে বিএনপি জামাত থেকে আগত নব্য আওয়ামীলীগরা সর্বোপরি হাতে গোনা কয়েকজন। এমনকি তারা আরো বলেন বর্তমান মাঠ জরিপ করলে দেখা যাবে প্রকৃত রাজপথে থাকা সেই দূরসময়ের কোন আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা রাগে অভিমানে মাঠ ছেড়ে দিয়ে নিজ নিজ কর্মনিয়ে ব্যস্ত থাকে।
এবং যারা মাঠে আছে তারা সুদিনের সুবিধা নিতে নেতাদের আগে পিছে ভিড় করে রাখে যারা আওয়ামীলীগের জন্য রাজপথে কখনওই রাজপথে নামবে না। সেই সব শীর্ষ নেতারা আরো বলেন যে আজ যারা অন্য দল থেকে এসেছে তারা শুধু সরকারী দলের সুবিধা ভোগের জন্য আমাদের সাথে মিলে থাকে। তারা কখনোই নৌকায় ভোট দিবে না যাদের বর্তমানে সেইসব সুবিধাবাদীতের আর দেখাও যাচ্ছে না কেননা তারা বুঝতে পেরেছে সামনে বৃহত্তম আন্দোলন আসছে আর সেই আন্দোলনে তারা নামবে না বলেই আজ তারা ধীরে ধীরে কেটে পরছে সব সুবিধা ভোগিরা যারা কোনদিন আওয়ামীলীগের জন্য রাজপথে ছিলো না এবং কোনদিনও তারা থাকবেও না তাই এখন তারা দিনদিন হারিয়ে যাচ্ছে।
এমন ভাবে আওয়ামীলীগের রাজনীতি চললে আগামী নির্বাচনে আওয়ামীলীগ উপর প্রভাব পরবে বলে ধারণা করছে সেই সব রাজনৈতিক প্রভাবো পারবে মনে করছেন সেইসব রাজনৈতিক সিনিয়র নেতৃবৃন্দ।
বর্তমান জয়পুরহাট-২ আসনে বিএনপির রাজনীতি জিরো যে আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে নাম প্রকাশ করেছেন (১)সাবেক সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা, (২) নূর মোহাম্মদ রুবেল (৩) লায়ন সিরাজুল ইসলাম বিদ্যুৎ (৪) ইখতিয়ার আহম্মেদ রানা যারা প্রার্থী হিসেবে নাম প্রকাশ করলেও তৃনমূল মাঠে তাদের কোন প্রচারণা এখনো চোখে পড়েনি যাতে করে বিএনপির তৃনমূল মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা ক্ষিপ্ত রুপে ঘরে বসেই আছে। বিএনপির চার মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে থেকে শুধু মাত্র নূর মোহাম্মদ রুবেল কে শুধু দেখে গিয়েছে যিনি এখনো সেইভাবে নির্বাচনী প্রচারণা না চালালেও তিনি জয়পুরহাট-২ আসনের ছিন্নভিন্ন বিএনপির তৃনমূল বিএনপি,ছাত্রদল,যুবদলের নেতাকর্মীদের একতাবদ্ধ করতে নিজ অর্থায়নে বিভিন্ন প্রোগ্রামে অর্থ দিয়ে মাঠে কাজ করছেন সাথে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে প্রচারণা চালাচ্ছেন।