গোমাতলীতে দেড় হাজার একর লবণ মাঠে চাষ অনিশ্চিত
সেলিম উদ্দিন, ঈদগাঁও, কক্সবাজার প্রতিনিধি, দেশে গত বছর লবনের ন্যায্য মূল্য আশানুরুপ হওয়ায় এ বছরেও পুরোদমে মাঠে নামছে কক্সবাজার সদরের পোকখালী, ইসলামপুর, চৌফলদন্ডীর,ভারুয়াখালীর প্রান্তিক চাষীরা। তবে এ বছর গোমাতলীতে ৩শত ফুট বেঁড়িবাধ সংস্কার না হওয়ায় এ পেশায় জড়িত প্রায় আড়াই হাজার লবন চাষি পরিবারকে মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে। লবনের দাম স্বাভাবিক থাকলেও দেড় হাজার একর মাঠ খালী থাকছে বলে স্থানীয় লবন চাষীরা জানান। অনেক দিনের পুরুনো পেশা হিসেবে ছেড়েও দিতে পারছে না লবন চাষ। পার্শ্ববর্তী ইউনিয়ন গুলোতে এখন পুরোদমে শুরু হয়েছে লবন উৎপাদনের কাজ। কিন্তু সরকারের দিকে ছেয়ে থাকছে অপরাপর চাষীরা।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, পোকখালী ইউনিয়নের পশ্চিম গোমাতলী এলাকার সি ব্লক, ডি ব্লক,এ ব্লক, রিআইজ্জ্যা কাটা,কোম্পানী ঘোনা, ছোট রিআইজ্জ্যা কাটা, ৪৪ একর ঘোনাসহ আরো বেশ কয়েকটিঘোনার লবন মাঠে এখনো কোন চাষা মাঠে নামেননি। চলতি ডিসেম্বর মাসের দিকেই লবন উৎপাদন শুরুর লক্ষ্য নিয়ে পার্শ্ববর্তী মাঠ পরিচর্যা করেছে স্থানীয় লবন চাষিরা।
গোামাতলী চরপাড়া এলাকার কৃষক আলী হোছন, ,রাজঘাট এলাকার জাফর আলম জানান,গত ১৬-১৭ অর্থ বছরের লবন মৌসুমে উৎপাদিত লবনের দাম ছিল ,আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় চাষীরা খুবই লাভবান হয়েছিল। বর্তমান মহাজোট সরকার প্রান্তিক লবনের মূল্য নির্ধারন ও বিদেশ থেকে আমদানী বন্ধ করে দেওয়ায় গোমাতলীর লবন চাষিরা লাভবান হয়েছিল।
রাজঘাট এলাকার ব্যবসায়ী শাহা আলম জানান,গত রোয়ানুর তান্ডবে লন্ডভন্ড হয়ে যাওয়া বেঁড়িবাধটি দীর্ঘদিন মেরামত না করায় এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে ।
কক্সবাজর সদর উপজেলা লবন চাষি সমিতির সভাপতি হান্নান মিয়া জানান, কক্সবাজার পাউবোর গাফেলাতির কারনে এতদিন সময় হয়ছে। তবে এখন সংস্কারের জন্য সকল কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে বলে দাবী করে তিনি বলেন ভাংঙ্গনটি সংস্কার করা হলে স্থানীয় লবন চাষীরা পুরোদমে মাঠে নামতে পারবে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার আন্তরিক হলে এ এলাকার প্রায় দেড় হাজার একর লবন মাঠের চাষ করা যাবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড পাউবো কক্সবাজারের প্রধান প্রকৌশলী সবিবুর রহমান জানান, ভাঙন এলাকায় মাটি ভরাটের কাজ ইতিমধ্যে শুরু করা হবে।